শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে গাড়ির ধাক্কা লেগে প্রাণ গেল ২ তরুণের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১০:২৩ পিএম | আপডেট : ১০:৪২ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২১

ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি


রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারের রেলিংয়ের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কা লেগে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দু'জন হলেন- উমর আয়মান (২০) ও ফাহিম আহমেদ রাইয়ান (২০)। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের লাশ সিএমইচে রয়েছে। আয়মান ও রাইয়ানের বাসা নিকুঞ্জের সাত নম্বর সড়কে। তাদের মধ্যে আয়মানের বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এবং রাইয়ানের বাবা মৃত ব্যবসায়ী ইলিয়াস আহমেদ ।

এ ঘটনায় গাড়িচালক মোহাম্মদ মহসিন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন। এছাড়া আহতদের মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধা নের ছেলে রয়েছেন বলে একটি সূত্র জানায়। তিনিও চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, পাজেরো গাড়িটি ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাওয়া ক্লাবের কাছে ফ্লাইওভারের নিচে গেলে গতি হারিয়ে রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা খায়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে অদূরে ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসক জানান, আয়মান ও রাইয়ান আগেই মারা গেছেন। পরে চালক মহসিনসহ আহতদের সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয় ।

চালক মহসিন পুলিশকে জানিয়েছেন, তারা নিকুঞ্জ থেকে ডিওএইচএস ফিরছিলেন। তিনি গাড়িটির চালক হলেও সেটি চালাচ্ছিলেন এর মালিক ফাহিম আহমেদ রাইয়ান। ওই সময়ে তিনি পেছনের আসনে থাকলেও চালকের আসনের পাশে বসা ছিলেন আয়মান। গাড়িতে দুই তরুণীসহ মোট সাতজন ছিলেন। তবে আহত হওয়ার পর কার কী অবস্থা তা তিনি জানেন না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কাফরুল থানার উপ - পরিদর্শক আলমগীর বিল্লাল। তিনি বলেন, তারা ধারণা করছেন, আয়মান গাড়িটি চালানোর সময়ে গতি ঠিক রাখতে পারেননি। এতে রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে তিনিসহ তার পাশে বসা রাইয়ান প্রাণ হারান ।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, চালক মহসিন তাদের বলেছেন, ঘটনার সময়ে গাড়িতে দুই তরুণীসহ মোট সাতজন ছিলেন। কিন্তু তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত দুইজন ও আহত চালককেই পেয়েছেন। বাকি যাত্রীরা কে কোথায় গেছেন তা বলতে পারেননি চালক। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হলে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। ঘটনার সময়ে গাড়িটি চালানো রাইয়ানের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কি - না কিংবা তারা বিশেষ কোনো অবস্থায় ছিলেন কি - না, তা পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন