ক’দিন আগেই ২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত আট বছরে মোট আটটি মেগা ইভেন্টের স্বাগতিক ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। যেখানে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। এই ঘোষণা আসার পর ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে তাদের দল পাকিস্তানে যাবে কিনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্তটা নেবে ভারত সরকার। তবে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সব দলকে নিয়েই আসর অনুষ্ঠিত হবে বলে বিশ্বাস আইসিসির। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ২৯ বছর পর আইসিসির কোনো ইভেন্ট হবে পাকিস্তানে। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী আইসিসি। আর তাতে ভারতসহ অংশগ্রহণকারী সব দলই পাকিস্তানে যাবে বরে বিশ্বাস বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের, ‘আমরা যদি মনে করতাম যে পাকিস্তান এটি আয়োজনে সক্ষম নয়, তাই তাদের আয়োজক হিসেবে স্বীকৃতি দিতাম না। তবে আমি নিশ্চিত, অন্যসব দেশের মতো তারাও ইভেন্টটি যথাযথভাবে আয়োজন করতে পরিকল্পিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, সব দেশই সানন্দে সেখানে খেলতে যাবে।’
পাকিস্তানে নিরাপত্তা ইস্যুতে এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সেখানে যায়নি নিউজিল্যান্ড। তাদের পর ইংল্যান্ডও একই পথ অবলম্বন করে। এ নিয়ে চরম বিতর্ক হয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে জানিয়ে বার্কলে বলেন, ‘আমরা জানি, এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার রাজনৈতিক দ্ব›েদ্বর ব্যাপারে এ কথা বলেন বার্কলে। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি ভ‚তাত্বিক রাজনীতি নিয়ে কিছু করতে পারবো না। আমি শুধু এটাই আশা করবো, ক্রিকেট যেন তাদের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়। খেলাধুলার অন্যতম বড় গুণ হচ্ছে, এটি বিভিন্ন জাতিকে একত্রীকরণে সহায়তা করে। আমরা যদি ছোট পরিসরেও এক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারি, তবে তা আমাদের জন্য দারুণ হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন