আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিদেশ হতে চিকিৎসক এন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করতে আমরা বলেছি। কিন্তু তারা সেটা নিয়ে চিন্তা করছে না। কোনও পদক্ষেপও নিচ্ছে না।
গতকাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। গত বুধবার জাতীয় সংসদে এ সাধারণ আলোচনার জন্য প্রস্তাব তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সংসদে স্মারক বক্তৃতা দেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ।
বিএনপির দলীয় সংসদ হারুনুর রশিদের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সকলেই বলে আমাদের নেত্রীকে এখনই বিদেশে পাঠাতে হবে। আর উনার চিকিৎসা করাতে হবে বিদেশে। আমাদের দেশের চিকিৎসা খুব খারাপ। বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া তিন তিনবার হাসপাতালে গেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। আমরা বলেছি, বিদেশ থেকে যদি ডাক্তার আনতে হয়, আনেন। সেই লাইনে কোনোদিন হাঁটবে না। সেই কথা চিন্তাও করবে না। সে বিষয়ে পদক্ষেপও নেবে না। শুধু বলবে বিদেশ পাঠিয়ে দিতে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ সাহেব বলেছেন, বাঙালি খালি বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ছুটে চলে যান। ওনারাতো ২৬ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। আমি বলবো— সেবা করেন নাই, শাসন করেছেন। ওনারা কি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি করেছেন? যেটা থেকে মানুষ বিদেশে গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নেবে না কেন? এখনও বাংলার গরিব জনগণ চায়— ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে বা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের চিকিৎসা হয়। কারণ, তারা কম খরচে ও বিনা পয়সায় চিকিৎসা পায়। উনারাতো দেখেন খালি পশ্চিম দিক, কাবা শরিফের পরে আর আমাদের চেয়ে আগে। ওই জায়গার মধ্যে উনারা ন্যস্ত। সেটা থেকে বের হতে পারছেন না।
১৯৯৬ সালের পর আওয়ামী লীগর ক্ষমতা গ্রহণকে সোনালী অধ্যায় বলে দাবি করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নিয়ে আইনের শাসন চালু করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করে। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। আইন মন্ত্রী বলেন, একটা উন্নয়ন সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যায় না। এটা ভাঙা সুটকেস থেকে আলাউদ্দিনের চেরাগ নয় যে, কোকো জাহাজ হয়ে যাবে। এটা করতে হলে প্রথম ভৌত অবকাঠামো দাঁড় করাতে হয়। এই ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী সেটা করেছেন। এটার ফল আগামী ১২ বছরে দেখবেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করেছিল তারা। এটাকে তারা বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা। আর ছেঁড়া গেঞ্জি হয়ে যায় ড্যান্ডি ডাইংসহ বড় বড় শিল্প কারখানা। আর ভাঙা সুটকেস থেকে বের হয়ে আসে কোকো জাহাজ। কৃষক সার চাইতে গেলে বন্দুকের গুলি নামে গণতন্ত্রে। অন্ধকার অধ্যায়ের অন্যতম বৈশিষ্ট ছিল বঙ্গবন্ধুর আইনের শাসনকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা এবং বন্দুকের নলের মাধ্যমে দেশ শাসন করা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন