শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গোয়ালন্দে যুবককে আটক রেখে নির্যাতন

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে অটোরিকশা চুরির ঘটনায় এক যুবককে ৬ দিন ধরে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী যুবকের নাম রাসেল শেখ। সে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সৈদাল পাড়ার নজরুল শেখের ছেলে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম ওসমান কাজী। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাসেলের নানী জহুরা খাতুন ও খালা শুকুর জান বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ইউপি সদস্য ওসমান কাজী, তার পরিবারের সদস্য ও সহযোগীসহ মোট ১০ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ মকবুল কাজী নামের একজন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে। সে ইউপি সদস্য ওসমান কাজীর ছোট ভাই। এ ঘটনার পর ওসমান কাজীও গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন।
জানা যায়, দৌলতদিয়ার সৈদাল পাড়া এলাকায় প্রায় ৩ মাস আগে সোনামুদ্দিন নামে একজনের একটি অটোরিকশা চুরি হয়। ভুক্তভোগী যুবক রাসেল ঢাকায় অটোরিকশা চালায়। তার মায়ের বিদেশে যাওয়া উপলক্ষে সে কিছুদিন আগে বাড়ি আসে। মাকে বিদায় দেয়ার পর গত ১৯ নভেম্বর ঢাকার উদ্দেশ্যে সে বাড়ি হতে বের হয়। কিন্তু দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছালে ইউপি সদস্য ওসমান ৭ থেকে ৮ জন যুবকসহ গিয়ে তাকে পাকড়াও করে। তারা রাসেলকে সোনামুদ্দিনের অটো চুরির দায় দিয়ে বাস কাউন্টার ও তেলের পাম্পের দোতলায় নিয়ে দুদফা মারপিট করে। রাতে রাসেলকে ওসমান কাজী তার বাড়িতে আটকে রেখে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে এবং নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে চুরির কথা স্বীকার করতে বাধ্য করে। এ বিষয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাসেল জানায়, মেম্বার ওসমান আমাকে বেদম মারপিট করে ও প্রাননাশের হুমকি দেয়। যে কারণে আমি ভয়ে তার শেখানো মতো শালিসে অটো চুরির কথা স্বীকার করি। আসলে আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমি ঢাকায় থাকি। এলাকার এ সকল বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ওসমান কাজী মুঠোফোনে দৈনিক ইনকিলাব জানান, রাসেলের কোনো আত্মীয়-স্বজন তাকে জিম্মায় নেয়নি। ফলে উপস্থিত সকলের অনুরোধে তাকে হেফাজতে নেন। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, কাউকে ঘরে আটকে রাখা বা কোনো অভিযোগে নির্যাতন করা আইনত অপরাধ। এ ঘটনায় ভিকটিম রাসেলের পরিবারের পক্ষ হতে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অটো চুরির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন