নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় তিন স্থানে হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে বারদী, জামপুর ও পিরোজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তফা মুন্নাসহ প্রায় ৩৫জন আহত হয়েছে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বারদী এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান জহিরুল হকের বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসময় সাংবাদিকদের বহনকারী একটি গাড়িসহ প্রায় ৫টি গাড়ি ভাংচুর করে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় পৃথক তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ইব্রাহিম খলিল ইবু ও জাকির সরকার দুইজন পরাজিত প্রার্থী একত্রিত হয়ে বিজয়ী প্রার্থীর নাজমুল আলমের আত্মীয় বর্তমান চেয়ারম্যান জহিরুল হকের বাড়িতে হামলা করে। এসময় চেয়ারম্যানের ভাই তাইজুল, তানজিল, শাকিল, আমেনা, রাবেয়া, বিলকিছসহ ১০জনকে পিটিয়ে জখম করে। হামলাকারীরা বাড়িঘরের জানালার কাঁচ ভাংচুর করে। পরে বারদী মোগরাপাড়া সড়কে চলাচলরত সাংবাদিকদের একটি প্রাইভেটকারসহ ৫টি ট্রাক সিএনজি ভাংচুর করে। তবে কোন সাংবাদিক আহত হননি।
এদিকে জামপুর ইউনিয়নের উৎমা গ্রামে পরাজিত প্রার্থী কামরুজ্জামানের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম,সালেহা বেগম,হালিমা বেগমকে শ্লীলতহানীসহ এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে তাদের ঘরভাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট করে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করা চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তফা মুন্না বলেন, বারদী এলাকায় পরাজিত প্রার্থীদের হামলা ও ভাংচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে ইটের আঘাতে আহত হয়েছি। তবে পুলিশ ও বিজিবির সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সহিংসতায় পৃথক তিনটি অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন