স্টাফ রিপোর্টার : সমকালীন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান পুরুষ সৈয়দ শামসুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে একটি স্মরণসভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি। কবির বর্ণাঢ্যজীবন নিয়ে বক্তৃতা করেন প্রখ্যাত সাহিত্য সম্পাদক কবি মাহমুদ আল জামান, কবি আসাদ চৌধুরী এবং কথা সাহিত্যিক হাসনাত আবদুল হাই। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী লায়লা আফরোজ। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী (কবি কামাল চৌধুরী)। শুরুতে জাদুঘর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি ফিল প্রদর্শন করা হয় এবং জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে কবির দেয়া ভাষণের অংশ বিশেষ প্রদর্শন করা হয়। ডকুমেন্টারি ফিল প্রদর্শনের পর স্বাগত ভাষণে জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, সৈয়দ শামসুল হকের প্রয়াণে বাংলা সাহিত্যের একটি নক পতন হলো। যা পূরণ করা অসম্ভব। প্রধান অতিথির ভাষণে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন একাধারে কবি, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্রকার, কাহিনীকার, প্রাবন্ধিক, গীতিকার ও সংস্কৃতির ধারক। মুক্তিযুদ্ধের উপর তার নাটক বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে দারণভাবে উর্বর করেছে। সভাপতির ভাষণে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ফুলের গন্ধের মতোই তিনি থেকে যাবেন অবিনশ আশি বছর পেরিয়ে, চেতনা হারাবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তরুণের মতোই উদ্যোগী ও স্বপ্নবান। যে কোন প্রশ্ন ও উদ্বেগের সামনে সহাস্য, ধীর, মগ্ন ও সচেতন। ৬০ বছর ধরে সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় সমান পারদর্শিতায় নিবেদিত এই লেখক আকরিক অর্থেই পাহাড় ঠেলে চলেছেন; সকল প্রতিক‚লতা পেরিয়ে মেধা-কল্পনা-সৌন্দর্যের যে সৌধ গড়েছেন সৈয়দ হক; তা আসামান্য, বাঙালির চিরসগ্ধ এক বাতিঘর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন বিশিষ্ট অভিনেতা ও ‘চিত্রশিল্পী’ আফজাল হোসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন