পরিকল্পিতভাবে পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দু’ মাসের সশ্রম কারাদ-াদেশ দিয়েছেন বরিশালের জননিরাপত্তা অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল। দ-প্রাপ্ত সুমার সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাকুদিয়া গ্রামের আবদুল জব্বার সিকদারের পুত্র কবিরুল ইসলাম লিটনের। নিহত লিটন ৯ বছর ধরে দুবাই প্রবাসী ছিলেন। লিটন দুবাই থাকায় তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে খালাতো ভাই মনির হোসেন ফকিরের। পরবর্তীতে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
লিটন দেশে ফিরে এসে ঘটনার দিন বাবুগঞ্জ উপজেলার এক দুবাই প্রবাসীর পাঠানো মালপত্র পৌঁছে দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। হত্যাকা-ের পরে সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে আসে সব তথ্য। অভিযুক্ত মনির হোসেন ফকিরের বাসায় বেড়াতে যান লিটন ও তার স্ত্রী সুমী। এসময়ে সুযোগ বুঝে লিটনকে হত্যা করে মনির ও সুমী। পরে তার লাশ কীর্তনখেলা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। তিন দিন পর লাশটি ভেসে উঠে। সিআইডি তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করে। আদালতের বিচারক টিএম মুসা এ রায় ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন