বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পুরানো রেল বগি এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা ছাড়াই পুরাতন বগি দিয়ে ২৩৭ দিন পর চালু হলো কাঙ্ক্ষিত বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৫৩ পিএম

পুরানো রেল বগি এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা ছাড়াই পুরাতন বগি দিয়ে ২৩৭ দিন পর চালু হলো কাঙ্ক্ষিত বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনের বগির মান এবং যাত্রী সেবা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বেনাপোলবাসী।
২০১৯ সালের ১৭ জুলাই ভারতগামী অসুস্থ্য পাসপোর্ট যাত্রীদের কষ্ট লাঘবের কথা চিন্তা করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বেনাপোল এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনের উদ্বোধন করেন। তখন ট্রেনটি ছিল সম্পুর্ন নতুন এবং ইন্দোনেশিয়ার তৈরী। ট্রেনটিতে ২ টি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরা একটি কেবিন ছাড়াও ৬ টি শোভন চেয়ারের বগি ছিল। বর্তমান ট্রেনটি ভারতের তৈরি এবং অনেকদিনের পুরাতন নড়বড়ে। ট্রেনটিতে একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন থাকলেও সাধারন যাত্রীদের জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কোন কামরা নেই।
করোনাকালিন সময়ে প্রায় ৮ মাস আগে ৫ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায় ট্রেনটি। বেনাপোলের সাথে ভারতগামি পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকসানের মধ্যে পড়ে বেনাপোল একপ্রেস। এছাড়া করোনাকালিন পরিস্থিতির কারনে দেশের সব ট্রেন বন্ধ হলে বেনাপোল-ঢাকাগামী আন্তঃনগর এ ট্রেনটি সরকার বন্ধ করে দেয়। বেশ কিছু দিন আগে সরকার সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও অজ্ঞাত কারনে চালু হয়নি ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’। ফলে কষ্ট এবং দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মেডিকেল ভিসা নিয়ে প্রতিদিন ভারত যাতায়াতকারী প্রায় ১ হাজার অসুস্থ্য পাসপোর্ট যাত্রীর। এ ছাড়া সড়ক পথের বেহাল দশা ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরিঘাটে যানজটের কারণে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। বর্তমানে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারতে যাচ্ছেন এক হাজারেরও অধিক যাত্রী। দেশে ফিরছেন অনুরুপ সংখ্যক।যাত্রীদের ৯৫ শতাংশ অসুস্থ। ট্রেন না থাকায় এসব যাত্রীদের বাড়িতে ফেরার জন্য অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বেনাপোল থেকে ঢাকায় যেতে পরিবহনে সময় লাগে ১২/১৪ ঘণ্টা। সেখানে ট্রেনে নির্বিঘেœ সাড়ে সাত ঘণ্টায় বেনাপোলে থেকে ঢাকায় পৌঁছানো যায়। সপ্তাহে এক দিন বুধবার বিরতি দিয়ে প্রতিদিন দুপুর পৌনে ১ টায় বেনাপোল এবং রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর ছাড়ে বেনাপোল একপ্রেস। ট্রেনটি দীর্ঘদিন পর বেনাপোল এসে পৌঁছালে তা এক নজর দেখার জন্য ষ্টেশনের ভিড় লেগে যায়। আগত দর্শনার্থীরা বেনাপোল এক্সপ্রেসে সংযুক্ত বগি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে ষ্টেশন মাস্টার মো. সাইদুর রহমান কে ভর্ৎসনা করে তর্কে জড়িয়ে পড়লে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন বলে জানান।
বেনাপোল রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি উদ্বোধনের পর ৮৮৬ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছিল। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি শুধুমাত্র রেলে যাত্রীবহন বাবদ গত ১ বছরে ১৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। বেনাপোল-ঢাকা রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেনটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন