সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু, লাঞ্ছনাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের বিচারের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:৫৪ পিএম

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবীসহ ৪ দফা দাবীতে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছে শিক্ষক সমিতি। এবই সাথে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ এসকল দাবি জানান। একই দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীরাও ক্লাস বর্জন করেছে।
এর আগে সকালে সাড়ে ১০টায় শিক্ষক সমিতির আহবানে শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর বেলা সোয়া ১১টায় শিক্ষকরা প্রতিবাদ র‍্যালি করেন। শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় কুয়েট ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। শিক্ষকদের প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস। বক্তৃতা করেন প্রফেসর ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মো সাইফুর রহমান খান, প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, প্রফেসর ড. মোস্তফা সরোয়ার, পল্লব কুমার চৌধুরী, প্রফেসর ড.রাফিজুল ইসলাম. কম্পিউটার সায়েন্সের প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রফেসর ড. সোবহন মিয়া,সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. সজল কুমার অধিকারী, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের ড. মোহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ।
প্রফেসর ড. মোস্তফা সরোয়ার বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের সেই সব মানসিক নির্যাতনকারীদের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে- এমনটা শিক্ষকদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু ঘটনার তিন দিন পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বহিস্কার করতে হবে।
সমাবেশে ইলেক্টিক্যাল বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমরা শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশ চাই। যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে অবস্থান করাসহ নির্বিঘ্ন পদচারণা করতে পারেন।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. সজল কুমার অধিকারী বলেন, শিক্ষক সেলিম একজন সম্ভাবনাময় শিক্ষক ছিলেন। সেলিমের মৃত্যু একটি সম্ভাবনার মৃত্যু। এ ধরনের মানসিক নির্যাতনের মুল উৎপাটন করতে হবে। যাতে ভবিষ্যৎ ক্যাম্পাস সকলের জন্য নিরাপদ হয়। মানসিক নির্যাতনে সেলিমের মৃত্যুর বিচার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা ক্লাসে যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে কুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য ও সিসি টিভি ফুটেজ দৃশ্য অনুযায়ী মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা তাকে অপমান অপদস্ত করে।
মানসিক নির্যাতনে হৃদরোগে মারা যাওয়া কুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর জন্য দায়ী ছাত্রলীগের নেতাদের বহিষ্কারসহ শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন