মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নেট দুনিয়ায় ভাইরাল মুরাদ হাসান

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

‘ব্যবহারে বংশের পরিচয়’ হাট-বাজারের চায়ের দোকান ও গণপরিবহনে এ লেখা প্রায়ই চোখে পড়ে। তিন শব্দের এ বাক্যে বোঝানো হয়েছে, মানুষের জন্ম-বংশ পরিচয়-শিক্ষা-বেড়ে ওঠা তার আচরণ ও কথাবার্তায় প্রকাশ পায়। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন- জাতীয় সংসদের ১৪১ নম্বর এবং জামালপুর-৪ আসনের এমপি ডা. মুরাদ হাসান। তিনি সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। টক অব দ্য কান্ট্রি এ প্রতিমন্ত্রীর একাধিক অরুচিকর এবং কুৎসিত বক্তব্য, লাগামহীন ঐদ্ধত্যপূর্ণ হুমকি-ধামকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সেখানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সম্পর্কে নানা মন্তব্য করেছেন তিনি। এ বক্তব্যে দেশের নারী সমাজকে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা-বিতর্ক হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রীর চেয়ারে বসে অশ্লীলতার কারণে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির খবরেও শিরোনাম হয়েছেন মুরাদ হাসান। এ ছাড়াও নায়িকা মাহিয়া মাহিকে ধর্ষণের হুমকি সঙ্গে তার সোনারগাঁও হোটেলে থাকা এবং নোংরা ভাষার কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে।

নেটিজনদের কেউ কেউ বলছেন, মুরাদ হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার জন্যই মাঝেমধ্যে এমন সব লাগামহীন অশ্রাব্য কথাবার্তা বলে চলছেন। সারা দেশের সাড়ে ৩০০ এমপির এক-চতুর্থাংশকে মানুষ চেনেন না। অনেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নাম জানেন না। তাই নিজের পরিচিতি বাড়াতে এ নোংরা পথ ধরেছেন মুরাদ হাসান। বিগত শতকের শেষদিকে আমরা দেখেছি মুম্বাইয়ে হিন্দি সিনেমার নায়িকারা ছবির কাটতি বাড়াতে মিডিয়ায় নিজেদের স্ক্যান্ডাল নিজেরাই ছড়াতেন। ছবির ব্যবসার জন্য নায়িকাদের স্ক্যান্ডাল ছড়ানো তাদের এটা ছিল কৌশল। নায়িকাদের ব্যক্তিগত স্কান্ডালে অন্যের মাথাব্যথা তেমন ছিল না। মুরাদ হাসান নিজেকে ভাইরাল করতে অন্যকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপক্ষ করে অরুচিকর ইতরামি কথাবার্তা বলতেই পারেন। এতে তার বংশ পরিচয় প্রকাশ পাবে। কিন্তু তিনি দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং তার ছেলে ও সদ্য পাস করা ব্যারিস্টার নাতনির বিরুদ্ধে এমন সব কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন; যা কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে মেনে নেয়া যায় না। নারীর প্রতি এমন অবমাননা গোটা পুরুষ জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। কথা বলায় তার বচনভঙ্গি, ঐদ্ধত্যপূর্ণ আস্ফালন, বেসামাল কথাবার্তার নেট দুনিয়ায় অন্যেরা প্রতিবাদ করছেন, পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। কিন্তু একজন ব্যক্তি নন, সরকারের প্রতিমন্ত্রী। এমন কুরুচিবোধের ব্যক্তি প্রতিমন্ত্রীর চেয়ারে কী দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা লাগাচ্ছেন না। নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের কুরুচিপূর্ণ যে অডিও সংলাপ ভাইরাল হয়েছে তাতে পরিষ্কার তিনি ‘প্রতিমন্ত্রীর চেয়ার’ ব্যবহার করে পদস্খলন কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।

ডা. মুরাদ হাসান নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে যে ফোনে কথা বলেন, সেটা ধরেন নায়ক ইমন। বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তার এক পর্যায়ে ‘অশ্লীল ভাষায়’ সোনারগাঁ হোটেলে দেখা করার জন্য ‘নির্দেশ’ দেন। মাহি না এলে তাকে চারটি গোয়েন্দা সংস্থার লোক পাঠিয়ে তুলে আনার হুমকি দেন। মুরাদ হাসান যেসব শব্দের ব্যবহার করেছেন তা ইউটিউবে ভাইরাল। ওই সব শব্দ প্রিন্ট মিডিয়ায় ছাড়ানোর অযোগ্য। তবে মুরাদের ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ফোন ধরেন চিত্রনায়ক ইমন। তিনি মনে করেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য।’

প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এখন নেট দুনিয়ায় একাই রাজা মহারাজা। তিনি যখন ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে অরুচিকর বক্তব্য দেন; তখন ইউটিউবে নেটে ভেসে উঠেছিল তার স্ত্রী-কন্যা-ছেলের ছবি। মুরাদ হাসানের ওই ইনোসেন্ট কন্যায় কাছাকাছি বয়স ব্যারিস্টার জাইমার। বাবার এমন উলঙ্গপনা বক্তব্য শুনে মেয়েটি বাপের সম্পর্কে কি ধারণা পেল? নেট দুনিয়ায় মুরাদ হাসান প্রথম ভাইরাল হন ‘সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকবে না’ এ ঐদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে। তখন আলেম সমাজ তার বক্তব্যের প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি পালন করেন। আলেম সমাজের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বিবৃতবোধ করলেও ঘটনাটি এড়িয়ে যান। এ সময় ডা. মুরাদকে নিজ নির্বাচনী এলাকা জামালপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এলাকায় গিয়ে তিনি গাড়ি থেকে নামতে পারেনি জনরোষের ভয়ে। পুলিশ প্রহরায় ঢাকায় ফিরে আসেন। এ সময় মুরাদ হাসান বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি করি; যা কিছু বলি প্রধানমন্ত্রীর কথায়।

অতপর তিনি একাধিকবার ভাইরাল হন বেগম জিয়া, তারেক রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে। ইউটিউবে তার বক্তব্য দেখা যায় ‘আমার রাজকন্যারা রাজনীতি করবে’। ‘জাইমা রহমানের মতো লুইচ্যা প্রতি রাতে কালো কৃষ্ণাঙ্গ... ঘুম হয় না। এই সব কুলাঙ্গাদের রাজনীতির নেতৃত্ব করাবে এই স্বপ্ন’। ‘বেগম জিয়ার জন্মের ঠিক নেই’, ‘বেগম জিয়ার বেডে মদের বোতল থাকে’, ‘বেগম জিয়ার কতবার বিয়ে হয়েছে তা আল্লাহই জানেন; তার মা হয়তো জানেন না’, ‘বেগম জিয়ার নায়িকা হওয়ার শখ ছিল হয়ে গেছে প্রধানমন্ত্রী’, ‘তারেক রহমান জিয়ার পুত্র কিনা সন্দেহ রয়েছে, বেজন্মা’, ‘জিয়া রাজাকার-খুনি-লম্পট-বেজন্মা’। মুরাদ হাসানের এসব অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ নোংরা কথাবার্তা ভাইরাল হয় এবং নেট দুনিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নারী নেত্রীরা এবং আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী ফেসবুকে তাকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন। জবাবে তিনি ঐদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেন; বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এমন দাবি ঘৃর্ণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আমি যা বলি তা প্রধানমন্ত্রীর; আমি প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি করি, অন্য কারো নয়’। নাট্টাঅভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় নামের একজন উপস্থাপক তাকে প্রশ্ন করেন, ‘মানুষ আপনাকে টাকলা মুরাদ বলে, পাগলা মুরাদ বলে?’ জবাবে বিকৃত রুচিত বাচনভঙ্গিতে মুরাদ হাসান বলেন, ‘আই ফিল প্রাউড’। ‘আমি আপস করার জন্য জন্মাই নাই। মাথা নিচু করার জন্য জন্মাই নাই। হিম্মত থাকে আমার কাছে আসুক, সামনে এসে কথা বলুক। আমি জাতীয় সংসদের ১৪১ নম্বর এবং জামালপুর-৪ আসনের এমপি। কারো দয়ায় এমপি হইনি। মুরাদ কারো করুণা চায় না। আমি ভিক্ষা নেই না ভিক্ষা দেই’।

মুরাদ হাসানের এসব অশ্রাব্য কথাবার্তা নিয়ে নেট দুনিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় চলছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, নারী নেত্রীরা প্রতিবাদ করছেন। গতকাল মুরাদ হাসানের অশালীন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিষয়টি মুরাদ হাসানের ব্যক্তিগত বক্তব্য হতে পারে। এটা আমাদের কোনো বক্তব্য না, এটা দলের কোনো বিষয় না। কেন এ বক্তব্য তিনি দিয়েছেন জানি না। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব’।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি অতি পুরোনো খেলা। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নানা ধরনের কথাবার্তা ও শব্দ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রায়ই প্রতিপক্ষ দলের নেতাদের মনোবল দুর্বল করার কৌশল নিয়ে বিয়োদগার করেন। সেই বিয়োদগারের একটা সীমা পরিসীমা থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই বিএনপির সমালোচনা করেন। বেগম জিয়া, জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদের কঠোর সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় কন্যা শেখ রেহানা এবং সজীব ওয়াজেদ জয় বিএনপি এবং দলটির নেতাদের সমালোচনা করেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক নেতাই আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেন। ওবায়দুল কাদের প্রায় প্রতিদিনই বিএনপির বিরুদ্ধে বক্তৃতা করেন। দুই দলের নেতারা একে অপর দলের রাজনীতির বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলে থাকেন। কিন্তু সেসব সমালোচনায় সীমা থাকে। প্রতিপক্ষ দলের সমালোচনায় অরুচিকর, অশ্লীল, ব্যক্তিগত আক্রমণ, বিকৃত কোনো শব্দ থাকে না। প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগেও বিএনপির রাজনীতি, বেগম জিয়া ও জিয়াউর রহমানের কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে কঠোর সমালোচনা করেছেন। গত ৫ ডিসেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় বিএনপির নেতাদের রাজনীতির কঠোর সমালোচনা করে দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছেন। কিন্তু এসব লেখায় ও কথায় কখনো অশ্লীলতা জায়গা পায় না। তারা পরিশীলিত ভাষায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ একে অপরকে তুলাধুনো করেন। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, যে শব্দগুলোর ব্যবহার করেছেন তা কোনো ভদ্র, রুচিশীল শিক্ষিত মানুষের ভাষা হতে পারে না। তার বক্তব্যে দেশ-বিদেশের মানুষ ছি ছি করছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ খবর প্রচার হওয়ায় বিদেশে দেশের ভাবমর্যাদা নষ্ট হচ্ছে।

এর মধ্যেই নারী পক্ষ, মহিলা দল, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম, ৪০ নারী অধিকারকর্মীসহ অসংখ্য সংগঠন মুরাদ হাসানের কুরুচি বক্তব্যের প্রতিবাদ করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। কেউ কেউ মায়ের জাত নারী জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আবার ৪০ নারী অধিকারকর্মী মুরাদ হাসানের বক্তব্যকে ‘লিঙ্গবাদী’, ‘কুৎসিত যৌন হয়রানিমূলক’ বলেও আখ্যা দিয়ে তার অপসারণ দাবি করেছেন। নারী অধিকারকর্মীরা বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় পদে আসীন একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর মুখে এই ভাষা বাংলাদেশের আপামর নারীদের অপমান এবং অসম্মান করেছে। এর মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি যৌন হয়রানিকে সমাজ এবং রাষ্ট্রে কাঠামোগতভাবে প্রতিষ্ঠিত করার বৈধতা দেওয়া হয়।’

এখন কেউ কেউ প্রতিমন্ত্রী ‘মুরাদ হাসান পাগল’ বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি হালকা করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি কিন্তু মোটেই হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। প্রতিমন্ত্রী পদে থেকে নিজের নিজের পরিচিতি বাড়াতে ভাইরাল হওয়ার খায়েশ অন্যের চরিত্র হণন করে পুরণ করবেন তা হতে পারে না। সভ্য সমাজ এটা মেনে নেবে না। তাছাড়া সরকারের প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় এ দায় সরকার এড়াতে পারে না।

এখানে প্রণিধানযোগ্য বঙ্গবন্ধু সরকারের তথ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিক মিজানুর রহমান চৌধুরী। মিজান চৌধুরী লঞ্চে নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর যাচ্ছিলেন। ওই লঞ্চে সিনেমার স্যুটিং করতে বরিশাল যাচ্ছিলেন দলবলসহ নায়িকা সুচন্দা। তথ্যমন্ত্রী মিজান চৌধুরী লঞ্চে রয়েছেন খবর পেয়ে নায়িকা তার রুমে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ব্যক্তিগত একটি কাজের আর্জি জানান। এ খবর প্রচার হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সঙ্গে সঙ্গে মিজানুর রহমান চৌধুরীকে পদত্যাগ করতে বলেন। ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর মোদি সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হন প্রখ্যাত সাংবাদিক এম জে আকবর। ‘মি-টু’ আন্দোলনের সময় একজন মহিলা সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিমন্ত্রিত্বের চেয়ার ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।

প্রবাদে রয়েছে, যে অন্যের গিবত তোমার কাছে গাইতে পারে; সে তোমার গিবত অন্যের কাছে গাইতে অভ্যস্ত। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ‘ডা. মুরাদ হাসান এক সময় বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শাখার প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি ছাত্রলীগে যোগ দেন।’ বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে আওয়ামী লীগে এসে এমপি-প্রতিমন্ত্রী হয়ে মুরাদ হাসান এখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার পরিবারের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে কুৎসা রটিয়ে ভাইরাল হয়েছেন। ভবিষ্যতে সে আওয়ামী লীগ থেকে অন্য দলে গেলে কার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাবেন কে জানে?

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Abdul Mannan ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৩৮ এএম says : 0
· যারা বিসমিল্লাহকে বাদ দিতে চেয়েছিল, তারা আজ নিজেরাই বাদ হয়ে যাচ্ছে ! ▪️আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেননা।
Total Reply(0)
Shahin Akter ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৩৯ এএম says : 0
· রাষ্ট্র ধর্ম বাতিল হাওয়ায় আগেই.. মুরাদ বাতিল হয়ে গেছে.. আহ্ কি মজা
Total Reply(0)
Omar Faruk Tushi ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৩৯ এএম says : 0
শেষ পর্যন্ত তাকে আগুনেই ঝাঁপ দিতে হল।আল্লাহ সর্বশক্তিমান।
Total Reply(0)
T M Towhed ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৩৯ এএম says : 0
নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না। আল-মায়েদা: ৮৭!
Total Reply(0)
Shah Alam ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪০ এএম says : 0
আচ্ছা বলুন তো! মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত না করে পদত্যাগ করতে বলা হলো কেন
Total Reply(0)
Ami Surjo ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪০ এএম says : 0
বর্তমানে দল মত নির্বিশেষে সার্বজনীনভাবে ঘৃণার পাত্র মুরাদ
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন