রাজশাহী নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকার যানজট নিরসনে আরো পাঁচটি ফ্লাইওভার হবে। জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকার যানজট নিরসনে ফ্লাইওভারগুলো নির্মাণ করবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। ফলে কমবে যানজটের দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা। এছাড়া নগরীতে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে রাসিক। আরো একটিসহ মোট দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। সবমিলে নির্মাণ শেষে এই ফ্লাইওভারগুলো চালু হলে যানজট সহনশীল মাত্রায় নেমে আসবে এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, ফ্লাইওভারগুলো নির্মাণ করা হবে নগরীর শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর গোরহাঙ্গা রেলগেট, ভদ্রা মোড়, বর্নালী মোড় থেকে রাজিব চত্বর হয়ে বহরমপুর রেলক্রসিং পর্যন্ত। এছাড়া কোর্ট স্টেশন ও রায়পাড়া রেল ক্রসিংয়ের উপরে নির্মাণ করা হবে ফ্লাইওভার।
সোমবার রাতে ফ্লাইওভার নির্মাণ নিয়ে পরামর্শক কোম্পানির নেতৃবৃন্দ রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে আলোচনায় বসে। এসময় ওই পাঁচটি ফ্লাইওভার নির্মাণের নকশা প্রণয়ন, কাজের অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ মেয়র শরিফুল ইসলাম বাবু, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক নূর ইসলাম তুষার ছাড়াও ফ্লাইওভার নির্মাণ নিয়ে পরামর্শক কোম্পানির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে যানজট নিরসনের জন্য এই পাঁচটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। রাসিক নগরীর অতিগুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো নির্ধারণ করেছে ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য। রাসিকের পরিকল্পনা নগরীকে যানজট মুক্ত রাখা। সেই লক্ষ্যে নগরীর বুধপাড়ায় ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে, এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা। এই ফ্লাইওভারে পণ্যবাহী যানবাহনগুলো চলাচল করবে।
নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুখি পণ্যবাহী যানবাহনগুলো মূল শহর বিনোদপুর, কাজলা, তালাইমারী, ভদ্রা ও শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরে প্রবেশ না করে ওই ফ্লাইওভার ব্যবহার করে আম চত্বর হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাবে। এতে করে কমবে যানজট সাশ্রয় হবে জ্বালানীও।
একইভাবে নগরীতে যানজট কমানোর লক্ষ্যে যে পাঁচটি ফ্লাইওভারের মধ্যে অতিগুরুত্বপূর্ণ শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর। এই চত্বরে সবসময়ের জন্য যানজট লেগে থাকে। ফলে ট্রাফিক পুলিশদের যানবাহন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়। এই চত্বরটিতে চারটি সড়ক যুক্ত হয়েছে। একটি এসেছে ভদ্রার দিক থেকে, অপরটি সাহেব বাজার, লক্ষীপুর ও আমচত্বরের দিকে থেকে। এছাড়া পাশেই রেলওয়ে স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড। একই সড়কে হাসপাতাল ও ক্লিনিক।
সবমিলে যানজট নিত্যদিনের। এখানে ফ্লাইওভার নির্মাণ হলে এই এলাকার যানজট শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। এছাড়া ভদ্রা মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ হলে একই ভাবে কমবে যানজট।
অন্যদিকে, বর্নালী মোড় থেকে রাজিব চত্বর হয়ে বহরমপুর রেলক্রসিং পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারটি যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে। এই সড়কের খুব কাছে সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের অবস্থান । যানজটে পড়ে রোগীও তাদের স্বজনদের কষ্ট পেতে হয়।
এছাড়া কোর্ট স্টেশন ও রায়পাড়া রেল ক্রসিংয়ের উপরে ফ্লাইওভার নির্মাণ হলে কমবে যানজট। ফলে আধা ঘন্টা ৪৫ মিনিটের সড়ক ১০ থেকে ১৫ মিনিটে পার হওয়া সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন