সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি’র বিরুদ্ধে তারেক রহমান ও ডাঃ যোবায়েদা রহমানের একমাত্র কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় বিভিন্ন মন্তব্য করায় বরিশাল সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাইবার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইশতাক আহমেদ রুবেল সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পিবিআই’কে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরিশাল ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে বরিশালের সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় ভার্চুয়াল টকশোর উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলালকেও আসামি করা হয়েছে। আদালতে মামলা করার সময় বাদী মোঃ আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে বিএনপি নেতা আলী হায়দার বাবুল, মহসিন মন্টু, এনায়েত হোসেন বাচ্চু, সাদিকুর রহমান লিঙ্কন, আজাদ হোসেন, হুমায়ুন কবির মাসুদ সহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাদী আবুল কালাম আজাদ মামলায় উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলালের ভার্চুয়াল টকশোতে অংশ নিয়ে প্রধান অভিযুক্ত ডা. মুরাদ হাসান মুক্তিযুদ্ধের অসীম যোদ্ধা বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিয়েছেন। একারণেই তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন।
স¤প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। এরপর তার সমালোচনা করেন অনেকে। এছাড়া তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে। পাশাপাশি ঢাকাই সিনেমার এক উঠতি নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় নানা সমালোচনার মুখে পড়েন ডা. মুরাদ। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। একইসঙ্গে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের থেকে সদস্য পদ হারান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন