যুক্তরাষ্ট্র এর উদ্যোগে গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানো, গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের পুলিশ ও র্যাবের একাধিক কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, সাবেক সেনা প্রধানের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল, বিতর্কিত একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রীর কানাডা ও আরব আমিরাত প্রবেশে ব্যর্থ হওয়া ইত্যাদি ধারাবাহিক ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের মর্যাদা ও ভাব মর্যাদা চরমভাবে বিনষ্ট করেছে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের সম্মান ও গৌরব পুনরুদ্ধারে সকলকে সচেতন হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
আজ বুধবার ৫০তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলীয় সভাপতি এ্যাড. বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় দলের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, অতিঃ মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট আফতাব হোসেন মোল্লা, ডা. হাজেরা বেগম, অ্যাডভোকেট আবু সাইদ মোল্লা, মোঃ নূর আলম, খন্দকার জিয়াউদ্দিন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, খোদ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর শীর্ষ-কর্তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় শুধুমাত্র মার্কিন দূতকে তলবের মাধ্যমে দায় না সেরে বরং তথ্য-প্রমাণ সমৃদ্ধ সরকারী বক্তব্যের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে উদ্যোগী করে জাতিকে এ লজ্জার হাত থেকে মুক্তি দেয়া সরকারের দায়িত্ব। না হয় সরকারের নীরবতা অন্যান্য অনেক দেশকেও যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, যা কারও কাম্য নয়।
এসব লজ্জাকর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে “দেশের সম্মান ও গৌরব পুনরুদ্ধার করতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সকলেরই সচেতন ও সজাগ হতে হবে। এই হোক আমাদের অর্ধশত তম বিজয় দিবসের অঙ্গীকার। সভা শেষে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন