রাজধানীতে দিন দিন বাড়ছে যানজট। এ জন্য যানজটের মাত্রা কমাতে পোস্তাগোলা থেকে রায়েরবাজার রোড ছয় লেন করার পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আগামী বছরের ৩০ জুন বা এর আশপাশের সময়ে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে আশা করছে সরকার। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানীতে মানুষের চলাচল বাড়তে পারে। এতে ঢাকায় যানজটের মাত্রাও বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। দক্ষিণ সিটি এলাকার ৫৩টি ইন্টারসেকশন আরো প্রশস্ত করা ও তিনটি ফ্লাইওভারের নিচের সড়ক মিডিয়ান ভেঙে জায়গার যথোপযুক্ত ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। পোস্তগোলা থেকে রায়েরবাজার বেড়িবাঁধ সড়ক ছয় লেন করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল)-এর এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য ওই সড়কটি ছয় লেন করা হবে। এর মধ্যে চার লেন থাকবে এক্সপ্রেসওয়ে এবং দুই লেন হবে সার্ভিস রোড, যেখান দিয়ে লোকাল গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এ জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে মাওয়া সড়ক দিয়ে যাত্রীরা পোস্তগোলা হয়ে গাবতলী যেতে পারবেন। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডিসহ পোস্তগোলা থেকে রায়েরবাজার সড়কের আশপাশের এলাকার মানুষও এ সড়কটি ব্যবহার করতে পারবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন ৫৩টি ইন্টারসেকশন আরো প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে গাড়ির বাম টার্ন চলাচল বাধাহীন করতে বামের রাস্তা প্রশস্ত করা হবে। এতে বামের দিকে যাতায়াতকারী গাড়িগুলোকে বেশি সময় যানজটে আটকে থাকতে হবে না। এ দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতায় মোট তিনটি ফ্লাইওভার রয়েছে। খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভার ও মগবাজার ফ্লাইওভার। এসব ফ্লাইওভারের নিচে কোথাও চওড়া মিডিয়ান তৈরি করা হয়েছে আবার কোথাও খালি পড়ে আছে। খালি স্থানের কোথাও দখল করে রাখা হয়েছে। আবার অনেক স্থান অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। খালি জায়গার সঠিক ব্যবহারের অংশ হিসেবে ইতঃপূর্বে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ফ্লাইওভারের নিচের কয়েকটি স্থানে ময়লা ফেলার কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
ডিএসসিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ফ্লাইওভারের নিচের জায়গার ব্যবহার আরো বাড়াতে যেখানে চওড়া মিডিয়ান রয়েছে সেটি ভেঙে রাস্তা চওড়া করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোথাও জায়গা দখল হয়ে থাকলে সেটিও উদ্ধার করা হবে। কয়েকটি স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন