শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুই কোটি মানুষের বেশি ধারণ ক্ষমতা ঢাকার নেই

সংবাদ সম্মেলনে ডিএসসিসি মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, রাজধানী ঢাকার দুই কোটি মানুষের বেশি বসবাসের ধারণ ক্ষমতা নেই। তাই এই নগরীকে বসবাসের উপযুক্ত রাখতে হবে। সড়কে যানজট নিরসনসহ সার্বিক শৃঙ্খলার জন্য রাত ৮টার পর দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। ঢাকাকে একটি পথচারী বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তোলতে হবে। গতকাল সোমবার ডিএসসিসি নগরভবনে দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
মেয়র তাপস বলেন, রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধ করলে যানজট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এটি কার্যকর করতে পারলে, আমরা পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে পারব। পারিবারিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। আমরা এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করব। দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূর্তিতে দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই দুর্নীতি মুক্তির দিক থেকে আমরা আমাদের অবস্থান তৈরি করেছি। যদি সরকারের পক্ষ থেকে তালিকা করা হয়, তাহলে নিশ্চিত করে বলতে পারি দুর্নীতি মুক্তির দিক থেকে এক নম্বর প্রতিষ্ঠান হবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। অগ্রযাত্রার দিক থেকে ডিএসসিসিকে কেউ দাবায় রাখতে পারবে না।
নিবন্ধন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা পরিকল্পনা করেছি, সেই অনুযায়ী খুব দ্রুত উদ্যোগ নেব। সবাইকে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অনুমোদন নিতে হবে। এ ছাড়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় যেসব বাজার আছে, সেগুলো আমাদের আওতায় আনব। কীভাবে সেই বাজার পরিচালনা হবে, কয়টি বাজার থাকবে এগুলো সব আমরা একটি নীতিমালার আওতায় আনব। এই বাজারগুলোকে নিবন্ধন দেবো।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আশা করছি এ বছর রাজধানীতে পানিবদ্ধতা আগের চেয়ে কম হবে। আগে পানিবদ্ধতা হলে তা নিরসন হতে এক ঘণ্টা সময় লাগতো। কাজ করার ফলে, চলতি বছরে আধা ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশন হয়ে যাবে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে পানিবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি।
সমন্বয়হীন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি অনেকাংশেই কমিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকে রাস্তা খোঁড়ার অনুমতি চেয়েছেন। কিন্তু আমরা আসন্ন বর্ষার আগে কোথায় অনুমোদন দেইনি। আমরা বলেছি সেপ্টেম্বরের আগে কোনো রাস্তা খুঁড়তে দেয়া হবে না। যত্রতত্র সমন্বয়হীনভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি আমরা বন্ধ করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম চালু করতে সমর্থ হয়েছি। ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর যাত্রাপথে ঢাকা নগর পরিবহন যাত্রা শুরু করে। ঢাকা নগর পরিবহন ইতোমধ্যে জনগণের প্রত্যাশা ধারণ করতে পেরেছে বলেই জনসাধারণের মাঝে তা সমাদৃত হয়েছে। আরও ৩টি নতুন যাত্রাপথে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করার লক্ষ্যে কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পার্কিং সুবিধা নেই। ফলে আমাদের মূল সড়কে যত্রতত্র যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহনগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়। সেই সমস্যা সমাধানে আমরা সকল যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে নির্ধারিত স্থান চিহ্নিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদসহ কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন