২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আত্মহত্যার আগে ওই যুবলীগ নেতা হোয়াটসঅ্যাপে তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে একটি ম্যাসেজ লেখেন। ওই সময় সেই লেখাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে মুন্না একটি অংশে তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘আর পাঁচটা মানুষের মতো আমার জীবন না, আমি আজ চলে যাইতেছি। মনে রাখিস তোর বেইমানি ও পরকীয়ার জন্য আত্মহত্যা করলাম আমি...’। এ ঘটনায় পরের দিন রাতে মুন্নার স্ত্রী উষার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা মতিউর রহমান।
কুমিল্লায় এমরান হোসেন মুন্না (২৯) নামে এক যুবলীগ নেতার আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা প্ররোচনার মামলায় তার স্ত্রী সৈয়দা সাজিয়া শারমিন উষাকে (২৮) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সোহেল রানা তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিহত কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে এমরান হোসেন মুন্নার (২৯)। তিনি কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৮ বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর পরিবারের অমতেই বিয়ে করেন মুন্না ও ঊষা। কিন্তু এক বছর পার না হতেই তাদের দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে অশান্তি। ঊষা ঢাকায় পড়াশোনা করেন। সেখানে আরেকটি সম্পর্কে জড়ান তিনি। নানাভাবে চেষ্টা করেও স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক থেকে ফেরাতে না পেরে অভিমানে আত্মহত্যা করে মুন্না।
কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন জানান, আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সৈয়দা সাজিয়া শারমিন উষাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন