রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাতের জন্য দেশটিতে তার প্রথম সফরে সউদী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ১৫শ’ সফরসঙ্গী নিয়ে ভ্রমণ করেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে সম্ভবত তার ব্যক্তিগত বোয়িং ৭৪৭ জাম্বো জেট থেকে নামার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত খাঁটি সোনার এস্কেলেটরটি বহন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
স্বর্ণের এস্কেলেটরটি ছাড়াও সাথে ছিল তার নিজস্ব আসবাবপত্র এবং কার্পেট। ৮৫ বছর বয়সী বাদশাহ স্পষ্টতই প্রায় এক শতাব্দীর অতি রাজকীয় স্বাচ্ছন্দ্য ভোগের পর অন্য কোথাও স্বস্তি অনুভব করেন না এবং রিটজ কার্লটন এবং ফোর সিজন্সও তার চাহিদা পূরণ করতে সমর্থ নয়। তাই সউদী সরকার শেষ পর্যন্ত এই বিশ্বমানের হোটেলগুলোকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুক করে এবং এমনকি কিছু অতিথিকে তাদের রিজার্ভেশন বাতিল করতে বলে। এমনকি স্থায়ী বাসিন্দাদেরও সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়।
বিলাসবহুল হোটেলগুলোতে তার বিশাল রাজকীয় দলকে জায়গা দেওয়া এবং সেবা দেয়া ছিল একটি বিশাল কঠিন কাজ। বাদশাহর লোকেদের পছন্দমতো খাবার এবং পানীয় পরিবেশন করার জন্য দলের সদস্যরা হোটেলগুলোর কিছু কর্মীকে প্রতিস্থাপনও করেন। তার সফর দলে একটি বুলেট-প্রুফ লিমোজিন এবং একটি নিরাপত্তা বাহিনীও ছিল। যদি প্রয়োজন হয়, এই ভেবে তারাও পুরো একটি হোটেল বুক করেন।
যেটা খুবই হাস্যকর তা হল, অগাধ সম্পদের এহেন প্রদর্শনী এবং রুচি, আসবাবপত্র, খাবার, সবকিছু সম্পর্কে এত সূক্ষ্ম নজরদারির পরেও স্বর্ণের এস্কেলেটরে একটি যান্ত্রিক ভুল ছিল এবং প্রায় ৩০ সেকেন্ডের জন্য বাদশাহকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। এস্কেলেটর আটকে যেয়ে অবশেষে সিঁড়ি বেয়ে নামতে হয় তাকে। বিলিওনেয়ার- বাদশাহর এত জাঁকজকমক দেখার পর তার প্রযুক্তিগত ব্যর্থতাকে ছাড় দেয়নি ইন্টারনেট দুনিয়া।
একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সউদী আরবের বাদশাহ তার স্বর্ণের এস্কেলেটরটি খারাপ হয়ে গেলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে বাধ্য হন। এই কঠিন সময়ে সালমানের জন্য প্রার্থনা।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ইস... সবখানে স্বর্ণের ব্যবহারে এটাই হয়। সবাই জানে যে, আপনি হীরা দিয়ে এস্কেলেটর তৈরি করতে পারেন।’ এটি অবশ্যই তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন আধ-মিনিট ছিল। এই ঝক্কি মোকাবেলা করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি ডলার, যা তার রাজকীয় দলের পরিষেবা, খাবার এবং স্পা খরচের অন্তর্ভুক্ত নয়। সূত্র: লাক্সারি লঞ্চেস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন