নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভালাইন ইসলামীয়া দারুল উলুম কওমি হাফেজিয়া মাদরাসার নৈশ প্রহরী মনছুর আলী সরদার (৩৫) কে ৪ বছর আগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল দূর্বত্তরা। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মজিদুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ৪ জুলাই অজ্ঞাত নামে থানায় মামলা করেন। মামলার চার বছর পর হত্যা কান্ডে জড়িত থাকায় আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিনুর (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। জেলার মহাদেবপুর উপজেলার বাগডোব বাজার থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আমিনুল ইসলাম ভালাইন গ্রামের আব্দুল জব্বার এর ছেলে। নিহত মনছুর সরদার উপজেলার ভালাইন গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
র্যাব ৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায় গত ২০১৭ সালের ৪ জুলাই মান্দা থানার মামলা নং-০৬, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড মূলে বর্ণিত হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসারের রিকুইজিশন মূলে তদন্তে প্রাপ্ত আসামী আমিনুল ওরুফে আমিনুর গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতার কৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ সিআইডিকে জিডি মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের নেতৃত্বে ছিলেন জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্প কোম্পানির অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার তৌকির।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ভালাইন ইসলামীয়া দারুল উলুম হাফেজিয়া কওমী মাদরাসার আবাসিকে মনছুর সরদার অস্থায়ীভাবে নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন। তার বাড়ির পাশেই মাদরাসা। আবাসিকে ৩৫/৪০ জনশিক্ষার্থী থাকত। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই রাতে বাড়িতে খাবার খেয়ে সাড়ে ১১টার দিকে মাদরাসার বারন্দায় শুয়েছিলেন। এসময় অজ্ঞাতরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকের ডানপাশসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন