মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সৃষ্টিরাজির সর্বোত্তম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানবজাতি। তাইতো মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। সুন্দরতম অবয়ব, জ্ঞান-বিজ্ঞান, বিবেক-বুদ্ধি, মেধা, মননশীলতা সবকিছু দিয়ে অনন্যভাবে সৃষ্টি করেছেন। মানব সৃষ্টির ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে’ -সুরা আত তীন, আয়াত: ০৪। এই সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করা হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে। রাসূলের কবি হাস্সান বিন সাবিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রশংসায় বলেন, (যার কবিতানুবাদ)
কোন চোখ দেখেনি কভু
তোমার চেয়ে সুন্দর কিছু
কোন নারী দেয়নি জন্ম
তোমার চেয়ে সুন্দর শিশু।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চেহারা মোবারক ছিল সৃষ্টিকুলের সবচেয়ে সুন্দরতম চেহারা। যার মধ্যে সদা আলো ঝলমল করত। হাদীসের ভাষায়, ‘হযরত বারা ইবনে আযীব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর চেহারার অধিকারী এবং মানুষদের মধ্যে সৃষ্টিগতভাবে সর্বোত্তম মানুষ ছিলেন’ -বোখারী। অন্য হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে অত্যধিক সুন্দর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ‘হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে চাঁদনি রাতে দেখেছি। অতঃপর আমি একবার চাঁদের দিকে তাকাই এবং একবার নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দিকে তাকাই। আল্লাহর কসম! আমার চোখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে চাঁদের চেয়েও বেশী সুন্দর মনে হয়েছে’ -দারেমী, বায়হাকী। তিনিই তো প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যিনি ছিলেন সৃষ্টিকূলের সবচেয়ে বেশী সুন্দর। যার তুলনা হয় না। এমনকি হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম থেকেও প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন অধিক সুন্দর। বলা হয়ে থাকে, যদি ইউসুফ আলাইহিস সালাম কে সুন্দরের অর্ধেক দেয়া হয়, তাহলে পরিপূর্ণ সুন্দর করে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এজন্য হযরত হাস্সান বিন সাবিত (রা.) তাঁর কবিতায় উল্লেখ করেন, আপনি সৃষ্টি হয়েছেন কোনরূপ দোষ-ত্রæটি বিহীনভাবে, আপনি যেন আপনার ইচ্ছানুসারে আশরাফুল মাখলুকাত মানবজাতির মধ্যে সর্বোত্তম হলেন মুমিন, মুসলমান, মুত্তাকীরা। কেননা, আল্লাহর কাছে শ্রেষ্টত্বের মাপকাঠি হচ্ছে তাকওয়া বা খোদাভীতি। আল্লাহর বাণী, ‘হে মানবজাতি! আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেজগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সব কিছুর খবর রাখেন’ -সুরা আল হুজুরাত, আয়াত: ১৩)। মুত্তাকী বা পরহেজগারগণের মধ্যে সর্বোত্তম হলেন সাহাবায়ে কেরামগণ। যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনসারগণের মাঝে পুরাতন এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ সে সমস্ত লোকদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তাঁরা ও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন কানন-কুঞ্জ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত প্র¯্রবণসমূহ। সেখানে তারা থাকবে চিরকাল। এটাই হল মহান কৃতকার্যতা’ -সুরা আত তাওবাহ, আয়াত: ১০০)। অন্যত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, হাদীস শরীফের ভাষায়, ‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কারো আদর্শ অনুসরণ করতে চায়, সে যেন তাদের আদর্শ ও রীতি নীতি গ্রহণ করে, যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন। কেননা, জীবিত ব্যক্তি ফেতনা হতে নিরাপদ নয়। তাঁরা (মৃতগণ) হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীগণ। তাঁরা ছিলেন এ উম্মতের সর্বোত্তম ব্যক্তিবর্গ, সর্বাধিক পবিত্র অন্তরবিশিষ্ট, গভীর জ্ঞানের অধিকারী এবং কৃত্তিমতা বর্জিত। আল্লাহ তা’য়ালা তাঁদেরকে তাঁর নবীর সাহচর্য ও স্বীয় দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা তাদের মর্যাদা অনুধাবণ কর, তাদেঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে চল এবং তাঁদের স্বভাবসমূহ ও চরিত্রাবলী সাধ্যমতো আকঁড়ে ধর। কেননা, তাঁরা সহজ সরল হেদায়াতের উপর প্রতিষ্টিত ছিলেন’ -রাযীন, মিশকাতুল মাসাবীহ। সাহাবায়ে কেরামগণের চেয়েও সর্বাধিক উত্তম হলেন, যাদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর হেদায়াতের দিকে, তাওহীদের দিকে আহŸান করার জন্য যুগে যুগে এ ধরাধামে পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসুল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক’ -সুরা আন নহল, আয়াত: ৩৬)। তাঁরা হলেন নবী-রাসুলগণ। যারা ছিলেন মাছুম, নিষ্পাপ। সেই নবী-রাসুলগণের মধ্যে সর্বোত্তম, সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন পিযারা নবী সাইয়্যিদুল কাউনাইন, রাহমাতাল্লিল আলামীন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যাঁর সম্পর্কে আল্লাহর অমোঘ ঘোষণা, ‘আর আল্লাহ যখন নবীগণের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদেরকে দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান অতঃপর তোমাদের নিকট কোন রাসূল আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্যায়ন করার জন্য, তখন সে রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তাঁকে সাহায্য করবে। তিনি বললেন, তোমরা কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছো? তারা বলল, আমরা অঙ্গীকার করেছি। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম’ -সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮১)। এভাবে আল্লাহ তা’য়ালা পিয়ারা নবীর শ্রেষ্ঠত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন। যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবদ্দশায় কোন নবী বা রাসূল জীবিত থাকতেন তাহলে ঐ নবী-রাসূলের নবুয়তী রহিত হয়ে যেত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর প্রতি ঈমান আনয়ন ও সহযোগিতা করা আবশ্যক হয়ে যেত। যা অত্র আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বোধগম্য। তাছাড়া হাদীস শরীফে এসেছে, ‘হযরত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, একদিন হযরত উমর (রা.) তাঁর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! নিশ্চয়ই আমরা ইহুদীদের নিকট অনেক উপদেশ বাণী শুনে থাকি, যা আমাদেরকে বিস্মিত করে তোলে (অর্থাৎ সেগুলো আমাদের নিকট ভাল লাগে)। তা হতে কিছু লিখে রাখতে আপনার মতামত কী? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরাও কি এরূপ দ্বিধাগ্রস্থ রয়েছ, যেরূপ ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা রয়েছে। অবশ্যই আমি তোমাদের নিকট এমন দ্বীন নিয়ে এসেছি, যা সম্পূর্ণরূপে উজ্জল ও পরিষ্কার। যদি হযরত মুসা আলাইহিস সালাম এখন জীবিত থাকতেন, তাহলে তিনিও আমার অনুসরণে বাধ্য হতেন’ -আহমদ, বায়হাকী। এতে পরিষ্কার হয় যে, প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্থান ও মর্যাদা সৃষ্টিক‚লের মধ্যে সবার উর্ধ্বে। যাতে কোন দ্বিধা-সন্দেহ নেই।
আকৃতিগত এবং মর্যাদাগত শ্রেষ্ঠত্বের পাশাপাশি প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চারিত্রিকভাবে ছিলেন সৃষ্টির সেরা। যার সত্যায়ন স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন করেছেন তাঁর বাণীর মাধ্যমে। আল্লাহর বাণী, ‘আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী’ -সুরা আল ক্বালাম, আয়াত: ০৪)। রাসূল ছিলেন কোমল, ভদ্র, নম্র আচরণের অধিকারী। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো’ -সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন চারিত্রিক দিক থেকে সবার জন্য আদর্শ। তাঁেক আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করার জন্য আল্লাহ তা’য়ালা ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রাসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে’ -সুরা আল আহযাব, আয়াত: ২১)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন চারিত্রিক দিক থেকে পরিপূর্ণ এবং চারিত্রিক পরিপূর্ণতা দেয়ার জন্য আবিভর্‚ত হয়েছেন। হাদীস শরীফের ভাষায়, ‘হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আমি চারিত্রিক পূর্ণতার জন্য প্রেরিত হয়েছি’ -মুসনাদে বায্যার। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন চারিত্রিক ভাবে অদ্বিতীয়। যার তুলনা তিনি নিজেই।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সৃষ্টিরাজির অনন্য, অদ্বিতীয়। যার কারণে মহান রাব্বুল আলামীন তাঁকে দান করার ক্ষেত্রে এমন সব জিনিস দান করেছেন যা সৃষ্টিকুলের অন্য কাউকে দান করেন নি। শুধু মাত্র তাকেঁই দান করেছেন। তন্মধ্যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কাউসার দান করেছেন। আল্লাহ তায়ালা সুসংবাদ দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাউসার দান করেছি’ -সুরা আল কাউসার, আয়াত: ০১। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সৃষ্টিকুলের জন্য রহমত করে পাঠিয়েছেন। একমাত্র তিনিই সৃষ্টিকুলের সবার জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন। আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি’ -সুরা আল আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তা’য়ালার নিকট ওসীলা পাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন। হাদীসের ভাষ্যানুযায়ী, ‘আমার জন্য তোমরা আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে অসীলা প্রার্থনা কর। আর তা হলো বেহেশতের এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ আসন যা বান্দাগণের মাঝে একজন প্রিয় বান্দা ব্যতীত আর কেউ এর যোগ্য হবেন না। আর আমি আশা রাখি যে, আমি সে বান্দা হব’ -মুসলীম। এর ব্যাখ্যা বর্ণনায় ইমাম আহমদ (রহ.)’র বর্ণিত একটি হাদীস পাওয়া যায়। যা হলো, ‘হযরত ইমাম আহমদ (রহ.) বর্ণনা করেন, অসীলা হলো আল্লাহর নিকট এমন একটি মর্যাদা যার উপর আর কোন মর্যাদা নেই। অতএব, তোমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা কর, যাতে করে তিনি আমাকে অসীলা দান করেন’। এছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে মাক্বামে মাহমুদ দান করার কথা আল্লাহ তা’য়ালা ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘হয়ত বা আপনার পালনকর্তা আপনাকে মাকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন’ -সুরা আল ইসরা, আয়াত: ৭৯। তাছাড়া আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর প্রিয় হাবীবের মর্যাদা করে দিয়েছেন সুমুন্নত করে। যার ঘোষণা তিনি নিজেই প্রদান করেছেন এভাবে, ‘আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি’ -সুরা আল ইনশিরাহ, আয়াত: ০৪। এতে বোঝা যায় যে, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন সৃষ্টিকূলের সবার সেরা, সর্বশেষ্ঠ। যার সমতুল্য আর কেউ নেই, আর হবেনও না। জ্ঞানে, গুণে, আকৃতি, সুন্দরে সর্বক্ষেত্রে সর্বদিক দিয়ে সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব দুজাহানের বাদশাহ প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যার তুলনা সৃষ্টিজগতে আর কেউ নেই। তিনি নিজেই বলেন, “আমি বনী আদমের শ্রেষ্ঠ সন্তান”। আমরা যেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মর্যাদা যথাযথ অনুধাবনসহ জীবনের পাথেয় হিসেবে অর্জন করতে পারি। আমীন।
লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট পরিচালক, খিদমাতুল উম্মাহ্ ফাউন্ডেশন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন