পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে অধিকার সচেতন করে শোষণের বিরুদ্ধে যেভাবে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে শিখিয়েছেন তা আর কেউ পারেননি।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল বাংলার জলাভূমির নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে অধিকার সচেতন করে তোলা, তাদেরকে শোষণ ও লুণ্ঠন করা হচ্ছে তা বুঝিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা। এই শোষণ ও লুণ্ঠনকে তিনি যেভাবে মোকাবেলা করতে শিখিয়েছেন তা আর কেউ শেখাতে পারেন নি।”
মন্ত্রী আরো বলেন, তার (বঙ্গবন্ধু) পক্ষেই আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। তিনি ছিলেন সকলের ঊর্ধ্বে, তিনি ছিলেন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সকল প্রেরণা ও শক্তির উৎস।
এম এ মান্নান আজ রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ(আইডিইবি) মিলনায়তনে টেলিভিশন রিপোটার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব)’র উদ্যোগে ট্রাব বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ২০২১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘মুজিব মানেই বাংলাদেশ’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন, গুণীজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ট্রাব সভাপতি সালাম মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উদ্ভোধনী বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান এমপি।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, আকাশ-বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্সের সিএফএও লুৎফর রহমান এবং ব্যারিস্টার জাহানারা ইমাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জাহানারা ইমাম।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ট্রাব বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব হামিদ মোহাম্মদ জসিম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্রাবের সাধারণ সম্পাদক অনজন রহমান।
অধ্যাপক কামরুন নাহার বেগমকে একজন গর্বিত মা হিসেবে উল্লেখ করে মকবুল হোসেন বলেন, এই রতœগর্ভ মাতা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের মত এক একজন কৃতী সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তাঁর আরো যে সন্তানরা বিদেশে রয়েছেন তা কৃতিত্বে সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র: বাসস
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন