বরিশাল বিভাগের সব এলাকাতেই শনিবার থেকে করোনার তৃতীয় ডোজের ভ্যাকসিন প্রদানের পাশাপাশি এ অঞ্চলে সবগুলো ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমেও টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ফলে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ তাদের আবাসস্থলের খুব কাছেই করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন প্রদানের সুযোগ পাবেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানিয়েছেন। এরফলে পল্লী এলাকার মানুষ বেশী উপকৃত হবেন বলেও আশা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ডিসেম্বরের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলে ১২ বছর ও তদোর্ধ ৪০ ভাগ মানুষকে করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন প্রদানের যে লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল তা বাহুলাংশে অর্জিত হয়েছে বলে কতৃপক্ষ জানিয়েছেন। প্রায় ১ কোটি জনসংখ্যার বরিশাল অঞ্চলে ইতোমধ্যে প্রায় ২৯ লাখ মানুষের দেহে করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিনের দুই ডোজ প্রয়োগ সম্পন্ন হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ অঞ্চলে সাড়ে ২৯ লাখেরও বেশী মানুষ করোনার দুই ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহন করেছেন। আর শুধু প্রথম ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ ৬৫ হাজারেরও কিছু বেশী। এরমধ্যে বরিশাল মহানগরীর ৩ লাখ ৭ হাজার ৫২৬ জন করোনার প্রথম ডোজের টিকা গ্রহন করেছেন। আর এ নগরীতে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ২০৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক জানান, আগামী মার্চের মধ্যে ১২ বছর ও তদোর্ধের অন্তত ৭০ ভাগ মানুষকে ভেকসিন প্রদানের লক্ষে কাজ চলছে। এ লক্ষ্য অর্জনের আশাবাদও ব্যাক্ত করেন বিভাগীয় উপÑপরিচালক।
বরিশাল অঞ্চলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভ্যাকসিনের জন্য প্রায় ৪৪ লাখ মানুষ নিবন্ধন করলেও তার প্রায় ৯৩% টিকা গ্রহন করেছেন।
শণিবার থেকে এ অঞ্চলের ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হলেও এ অঞ্চলে প্রতিরোধ কার্যক্রম আরো যোরদার হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগনও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন