সদ্য সমাপ্ত চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট না দেয়াকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের কমপক্ষে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২ জানুয়ারি রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ইউনিয়নের তাড়ল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন তাড়ল গ্রামের আহম্মদ চৌধুরী। একই গ্রামের সুফি মিয়া নির্বাচনে পরাজিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আহম্মদ চৌধুরীর বিরোধিতা করেন। গত শনিবার দুপুরে দিরাই বাজারের হাইস্কুল রোডস্থ হলিকোণা নৌকা ঘাটে আহম্মদ চৌধুরীর ভাই সুজন মিয়া মিয়া একই গ্রামের সুফি মিয়াকে সকল প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে নৌকার বিরোধিকা করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের অভিযোগ ওঠে।
মারধরে আহত করে সুফি মিয়া রাতে আহম্মদ চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে কয়েকজনের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের জের ধরে রোববার সকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী আহম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক সুফি মিয়ার বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হন।
আহতরা হলেন আহম্মদ চৌধুরীর পক্ষের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আমিনুর চৌধুরী (২৬), শাতির মিয়র ছেলে আলআমিন চৌধুরী (৩৮), সুফি মিয়া চৌধুরী (৫৫), তার ছেলে ইদু মিয়া চৌধুরী (৩০)। গুরুতর আহত আমিনুর চৌধুরী ও আলআমিন চৌধুরীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি, কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন