৩১ অক্টোবর, ১৯৮৪ সালের তারিখে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন। শিখ উপাসনালয়ে সেনা অভিযান অনুমতি দেয়া এবং শিখ দমন কার্যক্রমের প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যা করা হয়। ইন্দিরা সমর্থক কিছু রাজনীতিক এই ঘটনাটিকে কাজে লাগায়। এর ফলে সারা ভারতে শিখবিরোধী এক সহিংস দাঙ্গার সূচনা হয়। এক দিনেই শত শত শিখ ধর্মাবলম্বী নিহত হয় এবং তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হয়। পাঞ্জাবে বাইরে যে শিখরা থাকে তারা জীবন বাঁচাবার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এমনই এক শিখ পরিবারের প্রধান দাবিন্দার সিং (বীর দাশ)। সে তার স্ত্রী তাজিন্দার কওর (সোহা আলি খান) আর তাদের তিন সন্তানকে নিয়ে নিজেদের ঘরে অবস্থান করছিল। আত্মীয়-স্বজনদের দুরবস্থার কথা জানতে পেরে দাবিন্দার তার হিন্দু বন্ধুদের কাছে থেকে সাহায্য চায়। বেশিরভাগ তাদের সাহায্য করতে অস্বীকার করে। তবে তিলক (বিনীত শর্মা), পাল (দ্বীপরাজ রানা) আর যোগেশ (লাখা লখভিন্দার সিং) তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। তারা তিনজন বেশ দূর থেকে দাবিন্দারের পরিবারকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসে। সেখানে পৌঁছতেই তাদের বেগ পেতে হয়। তাদের নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেয়া যে কত কঠিন হবে তাও বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য। মানবতাকে সমুন্নত রাখার জন্য তাদের এই সাহসী প্রয়াসকে সফল করার জন্য প্রথমে তাদের নিজেদের বিবেককে জাগ্রত রাখতে হবে। সবাই কি তাদের মনের সেই কুটিলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে জিততে পারবে?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন