আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর আনু মাঝির ঘাট থেকে হালদার মোহনা পর্যন্ত এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের নেতারা। গতকাল সোমবার কর্ণফুলী নদীতে নৌকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। অবৈধ স্থাপনা নির্ধারিত সময়ে উচ্ছেদ করা না হলে বিষয়টি হাইকোর্টকে অবহিত করার কথাও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, দখলে-দূষণে কর্ণফুলী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘মাস্টার প্ল্যান ফর চিটাগাং পোর্ট’ শীর্ষক জরিপে নদীর প্রবহমান ধারা ছিলো ৮৮৬ দশমিক ১৬ মিটার। কয়েকটি অংশে নদীর বর্তমান প্রবহমান ধারা মাত্র ৪১০ মিটার।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে কর্ণফুলী নদী ভরাট ও দখল হয়ে যাচ্ছে। গত অক্টোবর মাসে জেলা প্রশাসক এক মাসের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যকম শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়নি। তাই সরকারি সংস্থা কর্তৃক হাইকোর্টের আদেশ না মানার বিষয়টি হাইকোর্টকে অবহিত করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন