মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এক মুক্তিযোদ্ধার জমি খাস দেখিয়ে অন্যেকে বন্দোবস্ত দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ মাহমুদ এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সাংবাদিকদের কাছে গতকাল সোমবার এ তথ্য জানান।
তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজার সংলগ্ন আমার পিতা মৃত আলী আকবর খানের কালাইচর মৌজার ১০ শতাংশ জমি আছে। সেখান থেকে আমার পিতা তার জীবদ্দশায় দুই শতাংশ জমি একই ইউনিয়নের বজরুসার গ্রামের ইউনুস খানের নিকট বিক্রি করেন। কিন্তু সম্প্রতি বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন আমার পিতার দুই শতাংশ জমি খাস দেখিয়ে ইউনুস খানকে অবৈধভাবে লিজ দেন। আমি নিউজল্যান্ড প্রবাসী হওয়ায় বিষয়টি আমার পরিবারের কাউকে জানানো হয়নি। লিজকৃত জায়গায় ইউনুস খান এরই মধ্যে দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করেছে।
এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ মাহমুদ আরো বলেন, বেলায়েত হোসেন প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর ধরে বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে কর্মরত থেকে বেশ কিছু সরকারি জমি বেআইনীভাবে বন্দোবস্ত দিয়েছে। যাদের বন্দোবস্ত দিচ্ছেন তাদের থেকে আর্থিকভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এমন সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অনিয়ম থেকে রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করছি। সেই সাথে আমার পৈত্রিক সম্পত্তির অবৈধ লিজ বাতিল করার জোর দাবি করছি। অভিযোগের বিষয় বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নই।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধভাবে কারো সম্পত্তি অন্য কাউকে লিজ দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। কিভাবে হয়েছে, সব তদন্ত করে দেখতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন