রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

নববর্ষের মুহুর্মুহু আতশবাজির শব্দে কাঁপতে থাকা শিশুটি অবশেষে মারা গেলো

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২২, ৯:৩৬ এএম

গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মুহুর্মুহু আতশবাজি ফোটানোর ঘটনা ঘটেছে। আতশবাজির বিকট শব্দে ছোট্ট ছেলেটা বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছিল। সে শুক্রবার সারা রাত আতঙ্কে কাটে তার। সেই সঙ্গে তার শ্বাসকষ্টও হচ্ছিল। তার পরের দিনই শিশুটি মারা গেছে।

শিশুটির নাম তানজীম উমায়ের। তার বাবা ইউসুফ রায়হান। চার মাস বয়সী শিশুটি ১ জানুয়ারি বিকেলে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে যায়।
জানা গেছে, জন্মগতভাবে হৃদযন্ত্রে ছিদ্র ছিল উমায়েরের। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নিয়মিত চিকিৎসা করানো হচ্ছিল তাকে। গত ১ জানুয়ারি শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হয়নি উমায়েরের।

ছেলে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শিশুটির মা-বাবা। বারবার তারা থার্টি ফার্স্ট নাইটের আতশবাজির ভয়াবহতার কথা চিন্তা করছেন। ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা ইউসুফ রায়হান একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, তোর ছোট্ট হাতটা দিয়ে আমার আংগুল খানি কি আর ধরবি নারে বাবা?

সেই ছবিতে দেখা যায়, ছোট্ট শিশুর হাতে ক্যানোলা করা আছে। ছোট্ট সেই হাতে বাবার আঙুল ধরে রেখেছে শিশুটি। তিন দিন আগে ইউসুফ রায়হান ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, কি বিকট শব্দে আতশবাজি। আমার ছোট বাচ্চাটি এমনিতেই হার্টের রোগী।

আতশবাজির প্রচন্ড শব্দে শিশু বাচ্চাটি আমার ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে ওঠে। খুব ভয় পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। খুবই আতঙ্কের মধ্য দিয়ে সময়টা পার করছি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সন্তানদেরকে বুঝ দান করুক। দোয়া করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

১ জানুয়ারি শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরা হয়নি। এরই মধ্যে বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অবশ্য এবারের ‘থার্টি ফাস্ট’ উদযাপন নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
ইকবাল কবির ৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:০৮ এএম says : 0
কার সন্তান মারা গেলে বা কার বাড়ি আগুনে ধ্বংস হলে আতশবাজি ও ফানুশ নিষিদ্ধ হবে?
Total Reply(0)
Ruhul Amin ৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:৪৬ এএম says : 0
খ্রিষ্টীয় নববর্ষ পালনে আতশবাজি আর ফানুসের আগুনে যদি মহামারির ন্যায় মানুষ মারা যায় আর বাসাবাড়ি আগুনে পুড়ে যায়,তবেই প্রশাসনের বিবেক বোধ জাগ্রত হবে,নিষ্পাপ বাচ্চার মৃত্যু আর অসুস্থ বয়স্কদের সমস্যায় কার কিই বা আসে যায়? যারা পশ্চিমা সংস্কৃতির বিবেকহীন ফূর্তিতে মেতে টাকা উড়ায় এমন যুব সমাজের কাছে ভালো কিছু আশা করা আর অরণ্যে রোদন করা ==।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন