কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দের দল বাড়ির দরজা ভেংগে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫-৬ ভরি স্বর্ণ-অলংকার, নগদ টাকা ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় ।
সোমবার রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে জালালপুর ইউনিয়নের উওর চরপুক্ষিয়া ২ নং ওয়ার্ডের টেকপাড়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এসময় সংঘবদ্ধ ডাকাতের অস্ত্রের আঘাতে সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাড়ির মালিক তোফাজ্জল হোসেন (৫৩) আহত হয়েছেন। ডাকাতি শেষে ককটেল ও বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।
বাড়ির মালিক প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। গভীর রাতে হঠাৎ আমার স্ত্রী দরজায় বিকট শব্দ শুনতে পায়। একদল লোক সজোরে দরজায় আঘাত করতে থাকে। ৫-৭ জনের মতো লোক ভিতরে প্রবেশ করে ডাকাত পরিচয় দেয় নিজেদের। কিছু বুঝে উঠার আগেই আমি ও আমার মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫-৬ ভরি স্বর্ণ-অলংকার, নগদ টাকা ও মালামাল লুটপাট করে । আমার শরিলে আঘাত করে আহত করেছে। ডাকাতদের বয়স আনুমানিক ২০-৩০ এর মধ্যে হবে। বন্দুক, রামদা, দেশীয় অস্ত্র ছিল। তাদের সবার মুখোশ পড়া ছিল। বের হবার সময় ডাকতরা দরজা ভেংগে বের হয়। এ অবস্থায় আমি আতংকিত ও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। '
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাতে মসজিদের মাইকে ডাকাতির ঘটনাটি প্রচার করলে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে। ততক্ষণে ডাকতরা পালিয়ে যায়। সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমান ও হাবিবুর রহমান বাবলু বলেন, এই সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনায় আমরা এলাকাবাসী আতংকিত। দ্রুত ডাকাতদের গ্রেফতার ও এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের নিকট।
কটিয়াদী মডেল থানার এসআই জাকির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ফোর্স নিয়ে গিয়েছি। ডাকাতরা পালিয়ে গেছে। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। ডাকাতদের ধরতে তদন্ত করা হচ্ছে। সেই সাথে নিরাপত্তা জোরদার ও টহল বৃদ্ধি করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন