নাইজেরিয়ার জামফারা রাজ্যে সশস্ত্র ডাকাতরা অন্তত ৩০ জনকে হত্যা করেছে বলে গ্রামবাসী ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে; ক্ষয়িষ্ণু অর্থনীতির মধ্যে দেশটির সরকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাওয়ায় ২০২০ সালের শেষ থেকে ওই অঞ্চলে গণহারে অপহরণসহ নানান সহিংস অপরাধের পরিমাণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১টার দিকে তিন শতাধিক সশস্ত্র ডাকাত মটরবাইকে করে জামফারার আনকা এলাকার ৮টি গ্রামে হানা দেয় এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বলে জানান তিন বাসিন্দা। পালিয়ে বাঁচা এক বাসিন্দা আবুবাকার বেলো টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, হামলার সময় গ্রামগুলোতে যে পরিমাণ প্রহরী ছিল ডাকাতদের সংখ্যা ছিল তার তুলনায় অনেক বেশি। ডাকাতরা অসংখ্য বাড়ি ও দোকানপাট পুড়িয়ে দিয়েছে। ডাকাতদের দেওয়া আগুনে স্ত্রী ও ৩ সন্তান হারানো আরেক বাসিন্দা উমারু মাকেরি জানান, কুরফা ও রাফিন-গেরো গ্রাম দুই দিন ধরে ডাকাতদের হাতে অবরুদ্ধ হয়ে আছে, নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্য সেখানে নেই। নাইজেরিয়ার যেসব রাজ্যে নিয়মিত অপহরণের ঘটনা ঘটে, জামফারা তার অন্যতম। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সেখানে টেলিযোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে; ডাকাতদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বিঘ্নিত করতে ও সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানে সুবিধা করে দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ভাষ্য কর্তৃপক্ষের। তবে এই পদক্ষেপের কারণে জামফারার প্রকৃত পরিস্থিতিও জানা যাচ্ছে না; কর্তৃপক্ষও সেখানকার অবস্থা সম্বন্ধে তেমন তথ্য দেয় না বলে জানিয়েছে রয়টার্স। জামফারার গভর্নরের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, আনকা এলাকায় হামলা চালানো বন্দুকধারীদের অগ্রগতি রুখে দিয়েছে সামরিক বাহিনী। তবে এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন