প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন কাউকে তুরস্কের পার্লামেন্টে চায় না একে পার্টি। বুধবার পার্লামেন্টারি গ্রুপ মিটিংয়ে এরদোগান বলেন, তুরস্কের পার্লামেন্টে আমরা আর পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বৃদ্ধি দেখতে চাই না। এ সময় তিনি রিপাবলিক পিপলস পার্টি (সিএচপি) এবং দ্য গুড পার্টিসহ (আইপি) অন্যান্য দলের বিষয়েও মন্তব্য করেন। খবর ডেইলি সাবাহ। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে পিকেকে পিপলস’ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) দিয়ারবাকিরের ডেপুটি সেমরা গুজেলের ছবি যেখানে তিনি বলেছিলেন যে তিনি তার বাগদত্তা ছিলেন— এমন ছবি দেখার পর প্রতিক্রিয়া হিসেবে এরদোগান এসব কথা বলেন। পিকেকে সন্ত্রাসী ভলকান বোরা, যার কোড নাম কোসেরো মেলেতি। তিনি ছিলেন আদিয়ামান প্রদেশে দুটি সন্ত্রাসী হামলার অপরাধীদের একজন। তিনি সেই সন্ত্রাসী স্কোয়াডের অংশ ছিলেন, যেটি জেন্ডারমেরি সিপিএলকে হত্যা করেছিল। ২০১৭ সালে বোরা আদিয়ামান প্রদেশে তুর্কি সৈন্যদের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। ছবিগুলো অনেক পরে তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। ওই ছবিগুলোতে এইচডিপি আইনপ্রণেতা গুজেল সন্ত্রাসী বোরাকে তার বাগদত্তা বলে দাবি করেছিলেন। তবে ছবিগুলো প্রকাশ পাওয়ার পর গুজেল দাবি করেছেন, তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে ছবিগুলো এখন তাকে ঘায়েল করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার ন্যাশনালিস্ট পার্টি (এমএইচপি) চেয়ারপার্সন বাহচেলিও বলেছেন, তার দল সংসদে সন্ত্রাসবাদীদের চায় না। কারণ তিনি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য এইচডিপির কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। অপর এক খবরে বলা হয়, চীন উইঘুর তুর্কি ও অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীগুলোর ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ সার্বজনীন মানবাধিকারকে সম্মান জানাবে বলে আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেছে তুরস্ক। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। চীন সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু বুধবার বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে আলোচনা করেন। ওই আলোচনায় উইঘুর তুর্কিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আলোচনা শেষে টুইটারে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তাদের আলোচনায় উইঘুর তুর্কিদের ইস্যু বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চীনের যুদ্ধকে স্বীকৃতি দিয়ে বেইজিংকে নিরপরাধ মানুষ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে সূক্ষ সীমারেখা টানার আহŸান জানিয়েছে তুরস্ক। ১৯৭১ সালের আগস্টে তুরস্কের সঙ্গে চীনের ক‚টনৈতিক সম্পর্ক শুরু হয়। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে চীনে উইঘুর তুর্কিদের বিভিন্ন অধিকার লংঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে চীন। ২০১৮ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি প্রতিবেদনে চীনের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলিমদের ওপর গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, রাজনৈতিক কর্মকাÐে অংশ নিতে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। চীন অবশ্য বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ডেইলি সাবাহ, আনাদোলু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন