২০২০ সালটি ছিল বিশ্ববাসীর জন্য বড়ই বেদনার। করোনার প্রভাবে গোটা বিশ্ব হয়ে পড়েছিল লন্ডভন্ড। বিশ্বের পরাশক্তিরা ধরাশায়ী হয়েছিল করোনার কাছে। আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার শক্তিশালীরা করোনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। তারা মারাত্মকভাবে নাকানিচোবানি খেয়েছিল। ২০২১ সালের শেষের দিকে করোনার প্রভাব কিছুটা কমেছিল। বিশ্ববাসী কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। কিন্তু নতুন করে আবারো শুরু হয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রনের বিস্তার। আবারো সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে করোনার। অনেক মানুষ অবশ্য টিকার আওতায় এসেছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছে। সকল শিক্ষার্থীকেই টিকার আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। মাধ্যমিকে ইতোমধ্যেই টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবুও দেশবাসী আশাঙ্কামুক্ত হতে পারছে না। নতুন আতঙ্ক নতুনভাবে মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে। তারপরেও ২০২২ সালের প্রত্যাশা অনেক। ২০২০ সালটি বাংলাদেশের জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সালটি ছিল মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের সাল। ২০২১ সালে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। নতুন স্বপ্নে বুক বেঁধেছে বাংলাদেশ। শান্তি, স্বস্তি আর কল্যাণের স্বপ্নে বিভোর মানুষ। উন্নত আর সমৃদ্ধির বাংলা গড়তে তারা বদ্ধপরিকর। উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে তাই দৃপ্তপদে এগিয়ে চলছে ছোট্ট বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লিখিয়েছে। এখন টার্গেট, সমৃদ্ধির চূড়ান্ত চূড়া স্পর্শ করা। স্বপ্ন এখন দেশকে উন্নত বিশে^র কাতারে শামিল করা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর আর মালয়েশিয়ার পাশে নাম লেখানো দেশনায়কেরা বর্তমানে চোখের চিকিৎসা নিতে যান যুক্তরাজ্যে। খ্যাতিমান ক্রিকেটাররা আঙ্গুলে ব্যান্ডেজ পরাতে উড়ে যান সিঙ্গাপুরে। আর আগামিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী যদি বাংলাদেশে আসেন চোখের চিকিৎসা নিতে, আঙ্গুলে ব্যান্ডেজ পরাতে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা উড়ে আসেন বাংলাদেশে! তা হলে যে কোনো দেশপ্রেমিকের আনন্দে আটখানা হবারই কথা। কিন্তু একটু চোখ বন্ধ করলেই দেশের কতিপয় অসংগতি হৃদয়পটে ভেসে উঠে। ভেসে উঠে অসংখ্য ক্ষুধার্ত মানুষের মুখোচ্ছবি। কারণ আমরা ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ এখনও প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। ১১৬টি দেশের মধ্যে ক্ষুধার রাজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৬-এ। দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। এর মধ্যে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। বন্যায় আর জলোচ্ছ্বাসে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ। বস্তিবাসী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। উচ্চ শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। মাদকাশক্ত তরুণ তরুণীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৪৫ ভাগই শিশু। তন্মধ্যে পথশিশুর সংখ্যা ১২ লাখ; যাদেরকে টোকাই বলে অভিহিত করা হয়। ১৩ লাখ এমন শিশু আছে, যারা বস্ত্রহীন। তাদের শীতের কোনো কাপড় নাই। ৬ লক্ষাধিক শিশুর বিছানা হলো রাস্তায়। এদের কোনো ঘরবাড়ি নাই। ৫ লক্ষাধিক শিশুর কোনো টয়লেট ও গোসলখানা নাই। এরা রাস্তায় আয় করে, রাস্তায় ব্যয় করে আর রাস্তায়ই ঘুমায়।
কর্মে ব্যস্ত একজন সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিক যখন দিন শেষে রাতে বিছানায় যান; তখন এতসব অসংগতি তার হৃদয়পটে ভেসে ওঠে। তার চোখে মুখে ভেসে ওঠে মিডিয়ায় প্রকাশিত নিত্যদিনের নানা দুঃসংবাদ। ঘুম থেকে উঠে সংবাদপত্রের পাতা তাকে আরো হতাশ করে দেয়। রাজনৈতিক হানাহানি, লুণ্ঠন, ধর্ষণ আর দুর্নীতির খবর প্রধান শিরোনাম হয় পত্রিকার। রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তখন উন্নয়নের সকল কথা ফাঁকা মনে হয়। কারণ, যে কোনো দেশের উন্নয়নের প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো সর্বক্ষেত্রে দুর্নীমিুক্ত হওয়া। কিন্তু বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পরপর ৫ বার চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। এখন সে অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটলেও কোনোভাবেই দুর্নীতিমুক্ত হতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই উন্নতি, অগ্রগতি ও প্রগতির প্রধান অন্তরায় হলো রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি। দেশের একজন নাগরিক রাষ্ট্রীয় সেবা পেতে গিয়ে জড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতির বেড়াজালে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নজরদারির কথা ঘোষণা করেছেন। দেশে আইন আছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, আছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তারপরও প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে নজরদারির কথা ঘোষণা করেছেন। এর মানে দাঁড়ায়, রাষ্ট্রের বিভিন্ন যন্ত্রের প্রতি জনগণ আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই জাতীয় বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে দেশবাসী প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিষয়ে বলেছেন, ‘কবরে কিন্তু একাই যেতে হবে। দুর্নীতির মাধ্যমে যে ঘুষ নেবে সে শুধু একাই অপরাধী নয়, যে দেবে সেও অপরাধী। এই জিনিসটা মাথায় রাখা ও সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তাহলে আমাদের অনেক কাজ দ্রুত হবে।’ এ ঘোষণার পরেও দেশের দুর্নীতি থেমে থাকেনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের খোদ কর্মীরাই দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। রূপপুরের বালিশ আর ফরিদপুরের পর্দাকাণ্ড দিনে দুপুরে ডাকাতির নামান্তর বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। দেশের জেলে, মুটে, মজুর, রিকশাওয়ালা এবং সাধারণ মানুষ এ দুর্নীতির সাথে জড়িত নয়। রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে জড়িত আমলা, কামলা এবং প্রশাসনিক ক্যাডারগণই এই দুর্নীতির সাথে জড়িত। বর্তমান বাংলাদেশে দুর্নীতি একটা মহাদুর্যোগে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ প্রস্তুতি নিতে পারে। ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কোনো প্রতিকার নেই। এগুলো ইচ্ছাকৃত ও আমলাদের দ্বারাই সৃষ্ট। রাষ্ট্র পরিচালকদের অনেকেই এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে থাকেন। কিন্তু এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। কার্যকর কোনো উদ্যোগও নেই। কোনো পথসভা নেই, বড় কোনো সমাবেশও নেই।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার কৃষক দুর্নীতি করে না। বাংলার মজদুর দুর্নীতি করে না। দুর্নীতি করি আমরা ৫ শতাংশ শিক্ষিত সমাজ।’ বঙ্গবন্ধুর ভাষায় দেশে দুর্নীতিপরায়ন লোকের সংখ্যা মাত্র ৫%। আর এ লোকগুলো সমাজটাকে কলুষিত করে ফেলেছে। ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার চতুর্থ দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘সমাজ ব্যবস্থায় যেন ঘুনে ধরে গেছে। এ সমাজের প্রতি আঘাত করতে চাই, যে আঘাত করেছিলাম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে। আঘাত করতে চাই এই ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে। আমি আপনাদের সমর্থন চাই।’ তিনি আরেকবার বলেছিলেন, ‘বাংলার মাটি থেকে (করাপশন) দুর্নীতি উৎখাত করতে হবে। দুর্নীতিবাজরা সমাজে খুবই দুর্বল। এদের আঘাত করলে মনোবল ভেঙ্গে পড়বে।’ দুর্নীতি মূলত জনগণের উপর এক নির্মম নির্যাতন। অপরাধীরা দুর্নীতির মধ্যে কোনো পৈশাচিকতা দেখতে পায় না।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ২০২০ সালের জরিপ মতে, ১৮০টি দেশের মধ্যে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। ২০১৯ সালে এর অবস্থান ছিল ১৪তম। বর্তমানে বিশ্বে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বারোটি। বাংলাদেশ এ তালিকায় ১২তম স্থানে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের দুর্নীতির সবচেয়ে বড় দিক হলো অর্থ পাচার। গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএসআই)’র এক তথ্যমতে, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব টাকা ঘুষ এবং দুর্নীতির টাকা। বাংলাদেশের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন বলেছেন, যারা কানাডায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন তাদের অধিকাংশই সরকারি কর্মকর্তা। এদের মধ্যে ২৮ অর্থপাচারকারীর নামের তালিকা তার হস্তগত হয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালে প্রকাশিত প্যারাডাইস পেপারস তালিকায় ৮২টি প্রতিষ্ঠানের ৮২ জন অর্থপাচারকারীর নাম চিহ্নিত হয়ে আছে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়। আর এসবই দুর্নীতির টাকা।’ তিনি আরো বলেন, ‘দুর্নীতি দমন করতে আইন আছে, দুর্নীতি দমন কমিশন আছে। কিন্তু পাশাপাশি সরকারের প্রভাবও আছে। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে ভয় পায়। কমিশন প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশালীদের ধরতে পারে না।’ এ কমিশন কিছু চুনোপুঁটিকে ধরেই বাহবা কুড়িয়ে থাকে। রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ অবশ্য তার এক ভাষণে ‘অন্যের দুর্নীতি ধরার আগে নিজেদের অসততা দূর করার পরামর্শ দিয়েছেন। নিজের ঘর থেকেই দুর্নীতি নির্মূল করা শুরু করুন।’
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দুর্নীতিচিত্র অত্যন্ত ভয়াবহ। বাংলাদেশে যখন ৩০ শতাংশের কম মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেতো, তখন বছরে বিদ্যুৎ চুরি হতো ৪০০ কোটি টাকার। আর সিস্টেম লসে ক্ষতি হতো ৫০০ কোটি টাকা। লোডশেডিং আর অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে শিল্পখাতে বছরে খরচ হতো ৬ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে বিদ্যুৎসুবিধা পাওয়া মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। বর্তমানে শুধুমাত্র পাওয়ার ডিস্ট্রবিউশন কোম্পানিতেই বছরে বিদ্যুৎ চুরি হয় এক হাজার কোটি টাকার। অব্যাহত দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার কারণে ডেসার পরিবর্তে দায়িত্ব দেয়া হয় পাওয়ার ডিস্ট্রবিউশন কোম্পানিকে (পিডিসি)। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতিতো হয়ই না, বরং এ কোম্পানির সর্বস্তরের প্রায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারি বিদ্যুৎ চুরিতে জড়িয়ে পড়েছে। সরকার কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ ক্রয় করে কম দামে বিক্রি করছে। বছরে এ খাতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয় হাজার হাজার কোটি টাকা। সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সেবা পেতে ৪০ ভাগ গ্রাহককেই ঘুষ দিতে হয়। বিদ্যুতের মতো গ্যাসীয় সিস্টেম লসে বছরে খরচ হয় ৫০০ কোটি টাকা। পেট্রোলিয়াম খাতে পাচারের কারণে বছরে ক্ষতি ৪০০ কোটি টাকা। সরকারি ক্রয়ে বছরে ক্ষতি ৩০০ কোটি টাকা। প্রতিবছর ঘুষের লেনদেন হয় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দরের অব্যবস্থাপনায় বছরে ক্ষতি হয় ৬ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ বিমানে অদক্ষতার কারণে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে চলে যাচ্ছে ৫ হাজার কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্প অব্যবস্থাপনায় বছরে ক্ষতি হচ্ছে চার হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকিং খাতের অদক্ষতার কারণে বছরে ক্ষতি হচ্ছে ৮ হাজার কোটি টাকা। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশকে বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হয়। পরিসংখ্যান বলছে যে, গত সাড়ে তিন দশকে বাংলাদেশে বিদেশি সাহায্যের মাত্র ২৫ ভাগ অর্থ উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় হয়েছে। বাকি ৭৫ ভাগ গেছে আমলা, কামলা ও দুর্নীতিবাজ শাসকের পকেটে।
এটি বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির অতি ক্ষুদ্র এক চিত্র। দেশে মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ৪৩টি। কিন্তু এখানে দু’ একটি মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির বিষয়ে আলোচনা হলো। বাকি মন্ত্রণালয়গুলোতে সংঘটিত মহাদুর্নীতির বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। সংঘটিত মহাদুর্নীতির অতি সামান্য আলোচনা এখানে স্থান পেলো। সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু অব্যাহত দুর্নীতির কারণে সাধারণ জনগণ এর সুফল ভোগ করতে পারছে না। সুতরাং দ্রুত দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা এখন সময়ের দাবি।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন