সারাদিন যন্ত্রপাতি নিয়ে নাড়াচাড়া। সেই সকালে ক্লাস শুরু। তারপর ল্যাব শেষে বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা। ছকে বাধা জীবনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়য়া শিক্ষার্থীদের দিন বুঝি এভাবেই কেটে যায়। কেউ কেউ বলেন, এতো ব্যস্ততার ভিড়ে আনন্দ করার সময় কোথায়!
কিন্তু কে জানতো, চমৎকার এমন সাংস্কৃতিক বিকেল সেদিন হাজির হবে নগরীর এমএআজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে? তারুণ্য মুখর হয়ে উঠবে পুরো পরিবেশ। নাচ, গান, নাটিকা কিংবা স্মৃতিচারণ। অনুষ্ঠান সূচি থেকে বাদ যায়নি একটিও।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউর) স্কুল অব সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গত ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হলো জমজমাট মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘স্ট্যাটিক শক’। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, বর্তমান তারুণ্য অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। তারা পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আজ অথবা কাল কিংবা পরশু এই বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তারাই নতুনভাবে তুলে ধরবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিকেল ৩টায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আশিক ও মিশমার প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় ছাত্রছাত্রীদের একের পর এক পরিবেশনা সবাইকে মুগ্ধ করে। শুরুতেই ছিলো এলিটের নৃত্য। এরপর ‘আমার গরুর গাড়ীতে বউ সাজিয়ে’ গানটির সঙ্গে জুটিবদ্ধ নাচ পরিবেশন করেন কাদের ও ফারা। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান গেয়ে শোনান রিয়া। এই সময় তার সঙ্গে আরো তিনটি গান করেন তারভি, ফাহিম ও আকিল।
মুকাভিনয়ে ছিলেন মেহেদী, তুষার, হামিদ ও শ্রাবনী। আজব ডাক্তার আর অদ্ভুত ধরনের রোগীর কা-কারখানা নিয়ে নাটিকায় ছিলেন মাসুদ, সাদমান, আরাফাত, ইশমাফ ও আকিব। জনপ্রিয় সব গানের সঙ্গে মর্ডান ড্যান্স পরিবেশন করেন মাইশা, নিম্মি, সাঈদ, সোহা, তাশফি, ইফতি ও তাসনিম। ছন্দের তালে তালে বড় পর্দার আড়ালে থেকে ছায়া নৃত্য উপস্থাপন করেন হাততালি কুড়ান রিফা ও মোতাহের।
ব্যতিক্রম ধর্মী আরেকটি ড্যান্স পরিবেশন করেন জিশান, মিরাজ, প্রশান্ত ও আদিল। চাকরি পাওয়া নিয়ে মজাদার একটি ইন্টারভিউ ভিত্তিক নাটিকায় ছিলেন শাকিল, সানজু, বারী, শোভা, জেরিন, আসিফ ও জিল্লুর।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে সাবেক শিক্ষিকা রাফিয়া ম্যাডাম স্মৃতিচারণ করেন মঞ্চে। সহকারী অধ্যাপক ইশতিয়াক আজিজ জাহেদ ও লেকচারার প্রমিলা হক তারুণ্যমুখর ইডিইউর ক্যাম্পাস আগামীতে আরো প্রাণবন্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আয়োজন শেষে স্কুল অব সায়েন্সের শিক্ষার্থী আলফাজ হাশেমী নিশান এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পড়ালেখার পাশাপাশি তাদের সুপ্ত প্রতিভা প্রকাশ পায় বলে মন্তব্য করেন।
ষ মহিউদ্দীন জুয়েল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন