রাজস্থানের রাজপুতানা এলাকাটি ভারতের ঐতিহ্যময় ইতিহাসের ধারক। এই এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বেশ কিছু সুরম্য অট্টালিকা। এলাকার অভিজাত শ্রেণীর লোকেরা এইসব প্রাসাদ তৈরি করেছে গত কয়েক শতাব্দীতে। এমনই এক প্রাসাদ দরবার প্যালেস। এর সত্ত¡াধিকারী প্রিন্স আদিত্য প্রতাপ সিং (শারদ মালহোত্রা)। অন্য অনেক পরিবার বাড়তি আয়ের জন্য হোক বা প্রাসাদগুলোর বিপুল ব্যয় সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েই হোক প্রাসাদগুলোতে রিজর্ট বা বিলাসবহুল হোটেলে পরিণত করেছে। কিন্তু আদিত্য তা করেনি। কারণ এর সঙ্গে তার পরলোকগত স্ত্রীর স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বিষয়টি আসলে তা থেকে কিছুটা আলাদা। শিমলাতে কস্তুরী (হৃতু দুড়ানি) নামে এক সুন্দরীর সঙ্গে পরিচয় হবার পর আদিত্য তাকে বিয়ে করে। এক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়, কিন্তু তার আত্মা রয়ে যায় দরবার প্যালেসে। এরপর একসময় এই প্রাসাদটিতে একে একে অনেক ভৌতিক ঘটনা আর দুর্ঘটনা ঘটে। একসময় এটির নামও বদলে যায়। এখন এটিকে সবাই হরর প্যালেস নামেই বেশি চেনে। আদিত্যর এক পুরনো কলেজ সহপাঠী সোনালি (মেলানি নাজারেথ) তার এই পারিবারিক বিপর্যয়ের কথা জানতে পেরে তাকে সান্ত¡না দিতে প্রাসাদে আসে। ক্রমে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়। একসময় তাদের সম্পর্ক প্রেমে পরিণত হয়। কিন্তু প্রাসাদে ভর করা আত্মা এই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে সোনালি আদিত্যর জীবন থেকে সরে দাঁড়াবার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনাক্রমে সূর্যকান্ত সিং নামে (দ্বীপরাজ রানা) এক পুলিশ অফিসার প্রাসাদে এসে ভৌতিক কিছু ঘটনা দেখে হতভম্ব হয়ে যায়। প্রথমে পালিয়ে গেলেও সে রহস্য উন্মোচনের জন্য ফিরে আসে। সে কি সফল হবে না নিজেই এই প্রাসাদের আত্মার শিকার হবে?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন