রংপুরে পর পর দু’দিনে পৃথক স্থান থেকে অন্তঃসত্ত্বা যুবতীসহ এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রথমটি রোবার সকালে নগরীর হাজিরহাট এলাকা থেকে এবং দ্বিতীয়টি আজ সোমবার নগরীর নীলকন্ঠ এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় নয় মাস পূর্বে নগরীর হাজিরহাট এলাকার বিকাশ চন্দ্রের সাথে লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌসুমী রাণীর (২৩) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে পাওয়া অর্থ বিকাশ চন্দ্র আইপিএল খেলে শেষ করে দেয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে প্রায়ই তাদের ঝগড়া হয় এবং বিকাশ চন্দ্র স্ত্রী মৌসুমী রাণীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। ইতিমধ্যে মৌসুমি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়।
ঘটনার দিন রোববার আবারো তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। পরে ঐদিন দুপুরে তাদের শয়ন কক্ষে মৌসুমীর গালায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মৌসুমীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
অপরদিকে, আজ সোমবার সকালে নগরীর নীলকন্ঠ এলাকা থেকে সোনা মিয়া (২৮)
দু’জনের নগরীতে সোনা মিয়া (২৮) নামে এক যুবকের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সোনা মিয়া ওই এলাকার আব্দুল হামিদ মিয়ার ছেলে। দুপুরে পুলিশ সোনা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোনা মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন।
গতকাল রবিবার রাতের কোনো এক সময় সে তার নিজ ঘরের চালের বাঁশের সঙ্গে রশি টানিয়ে গলায় ফাঁস দেন। সোমবার সকালে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন জানালা দিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন