ছয় নয়, এবার দেশের সাত ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) খেলা। ফুটবলের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে সংস্কার কাজ। এই কাজ শেষ হবে কবে তার নির্দিষ্ট কোন তারিখ নেই। তাই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আগেই ঘোষণা দিয়েছিল আসন্ন বিপিএলের খেলা হবে রাজধানীর বাইরের ছয় ভেন্যুতে। এই সংখ্যার সঙ্গে নতুন যুক্ত হয়েছে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নব-নির্মিত বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নাম। গতকাল বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ব ঘোষিত দিনক্ষণেই মাঠে গড়াবে দেশের সর্বোচ্চ লিগ। অর্থাৎ আগামী ৩ ফেব্রæয়ারি থেকেই শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের জমজমাট আসর বিপিএলের খেলা। যে সাত ভেন্যুতে আসন্ন বিপিএলের খেলা হবে সেগুলো হচ্ছে- বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স, কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম, রাজশাহীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্টেডিয়াম, মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়াম, গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম, টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম ও সিলেট জেলা স্টেডিয়াম। তবে কুমিল্লাকে ভেন্যু হিসেবে ঘোষণা করা হলেও এখানে লিগের খেলা হবে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে।
বড় ক্লাবগুলোর মধ্যে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড এবার হোম ভেন্যু করেছে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামকে। আর বসুন্ধরা কিংস এবার নিজেদের মাঠেই খেলবে। বাকি দলগুলোর ভেন্যু সম্পর্কিত ঘোষণা কিছুদিনের মধ্যেই আসবে বলে কাল লিগ কমিটির সভায় জানানো হয়। সভা শেষে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘ঢাকার বাইরে ছয়টি ভেন্যুর সঙ্গে এবার বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স যুক্ত হয়েছে। বাফুফের একটি প্রতিনিধি দল বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গিয়ে সেখানকার মাঠ, যাতায়াত ব্যবস্থা, প্রেস বক্স ও গ্যালারিসহ যাবতীয় সবকিছু দেখে এসেছে। কিছু কাজ বাকি রয়েছে, যা চলতি মাসেই শেষ হবে। তাই আমরা আশা করছি বসুন্ধরা কমপ্লেক্সে এবার বিপিএলের খেলা আয়োজন করতে পারবো।’
এদিকে গত কয়েকদিন আগে বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে লিগে রেফারিং ইস্যু নিয়ে আলোচনা ও প্রস্তাবনা পেশ করেছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের একটি প্রতিনিধি দল। বাফুফে সভাপতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো দক্ষিণ এশিয়ার বিদেশি রেফারিদের দিয়ে পরিচালনার প্রস্তাবটি যৌক্তিক বলে মনে করেন। তবে লিগে বিদেশি রেফারি আনতে ঘোরবিরোধী থাকলেও নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সালাম মুর্শেদী, ‘স্থানীয় রেফারি আমাদের তৈরি করতে হবে। স্থানীয় রেফারিদের প্রতি আমাদের আস্থাও রাখতে হবে। সভাপতি (কাজী সালাউদ্দিন) যেহেতু বলেছেন, নিশ্চয়ই তিনি ভেবে চিন্তেই বলেছেন।’ এছাড়া সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, এবার লিগের দলগুলোকে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন