২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এফডিসিতে এখন চলছে প্রার্থীদের জমজমাট প্রচারনার কাজ। নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপূণ এবং মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। দুই প্যানেলই এফডিসিতে নির্বাচনী ক্যাম্প বসিয়েছে। দুই ক্যাম্পেই ভোটাররা যাচ্ছেন, আড্ডা দিচ্ছেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। মিশা-জায়েদ প্যানেলের ক্যাম্পে স্থাপন করা হয়েছে জায়ান্ট ডিজিটাল স্ক্রিণ। এতে তাদের বিগত সময়ে শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ প্রদর্শন করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপূণ প্যানেলের সমর্থকরা তাদের বিজয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে মিছিল করছে। ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। পরিবর্তনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে গিয়ে দেখা যায়, ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপূণ প্যানেল মিছিল করছে। এদিন ইলিয়াস কাঞ্চন এফডিসিতে ছিলেন না। নিপূণ তাদের ক্যাম্পে ছিলেন। অন্যদিকে, মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান সার্বক্ষণিক এফডিসিতে ছিলেন। ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এরই মধ্যে তাদের ক্যাম্পে উপস্থিত ভোটারদের সামনে জায়েদ খানকে এক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। ভোটারদের একজন হঠাৎ করেই জায়েদ খানকে প্রশ্ন করে বসেন, বলুন তো আমার নাম কি? আমি কোথায় থাকি? জায়েদ তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম বলে দেন এবং কোথায় থাকেন, বাসার নম্বর কত বলে তাকে চমকে দেন। এতে উপস্থিত অন্যান্য সদস্যরা বিস্মিত হন এবং তারাও একের পর এক তাদের নাম, কোথায় থাকে ইত্যাদি প্রশ্ন করতে থাকে। জায়েদও গড়গড় করে তাদের নাম বলে দিতে থাকেন। উপস্থিত ভোটাররা তাদেরকে মনে রাখা এবং কে কোথায় থাকেন জায়েদের মুখ থেকে শুনে মুগ্ধ হয়ে যান। জায়েদ খান বলেন, শিল্পী সমিতির চার শতাধিক সদস্যর প্রত্যেকের নাম এবং বাসার ঠিকানা আমি বলে দিতে পারব। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন, আপনাদের খোঁজ-খবর রাখা আমার দায়িত্ব। আমি আপনাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছি। আপনারা যখন খুশি তখন আমাকে ডাকলে কাছে পেয়েছেন এবং পাবেন। আমি আপনাদের সেবা করতে চেষ্টা করেছি। এবার আপনারা নির্বাচিত করলে আপনাদের সেবায় আমার নতুন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করব। আপনাদের সম্মান রক্ষায় নিজেকে উজার করে দেব। উপস্থিত ভোটাররা তাদের খোঁজ-খবর রাখা নিয়ে জায়েদের এই আন্তরিকতার প্রশংসা করেন। তারা মনে করেন, জায়েদের মতো কাজের নেতাই শিল্পী সমিতির জন্য প্রয়োজন, যে নিবেদিত হয়ে সমিতি এবং সদস্যদের এক পরিবারের মতো সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে, খোঁজ-খবর নেবে। আমাদের এমন নেতার প্রয়োজন নেই যাকে, আমাদের প্রয়োজনে পাশে পাব না এবং যিনি জায়েদ খানের মতো খোঁজ-খবর নেবেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন