ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৩তম দিন। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের স্থায়ী প্যাভিলিয়নে চলছে এ মেলার ২৬তম আসর। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে সরকারের নির্দেশিত বিধিনিষেধ চলছে সারাদেশে। বাদ যায়নি মেলার আয়োজনেও। আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীর শ্রেণি কার্যক্রম আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এই সুযোগে অসচেতন অভিভাবকরা তাদের অবসর সময় ও কেনাকাটা সারতে শিশুদের নিয়ে ভিড় করছেন বাণিজ্য মেলায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলার প্রবেশ পথ পেরুলেই রয়েছে শিশুদের জন্য বিনোদন ও খেলাধুলা করার জন্য বিশেষ রাইড ও রং বেরংয়ের আয়োজন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ বিনোদন পেতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের খেলতে দিচ্ছেন। শিশুরা পাচ্ছে আনন্দ। আবদুল হক ভুঁইয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমলা মুহান্না বলেন, বাণিজ্য মেলায় আমাদের জন্য এ আয়োজন খুব ভালো লেগেছে। তবে করোনার জন্য ভয়ও হচ্ছে। শিশুদের জন্য কোন স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যবস্থা রাখেনি।
কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া মায়ার বাড়ি এলাকার শিক্ষার্থী অর্পা সিকদার বলেন, স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে তাই মায়ের সাথে বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে আসছি।
এদিকে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে ১১ দফা আরও বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছেন। ওই নির্দেশনা বলা হয়, শিক্ষার্থীদের অনলাইন বা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ও চালু থাকবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আঞ্চলিক অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় অব্যাহত রাখবে।
এছাড়াও জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
মেলায় ঘুরতে আসা অভিভাবক গোয়ালপাড়া এলাকার সবুজ মিয়া বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তবে মেলা চলছে। দেখলাম শিশুদের জন্য টিকেট কেটে রাইডের ব্যবস্থা করেছে। শিশুরা আনন্দ পাচ্ছে ঠিকই আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।
এসব বিষয়ে মেলার পরিচালক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পর্যাপ্ত টিম কাজ করছেন। মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা হচ্ছে। আর শিশুদের রাইডকে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে দর্শনার্থীদের সচেতন হতে হবে। তাদের নিজেদের দায়িত্বশীল হওয়া জরুরি।
এ বছর ২১টি দেশ মেলায় অংশ নিয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইরান, তুরস্ক, মরিশাস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন