ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৪ দিন ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। করোনাকালীন সময়ে নানা স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা এসেছেন মেলায়। তবে মালামাল ক্রয়ের চেয়ে ঘুরে দেখছেন বেশি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলার ২৪তম দিনেও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরাই এসেছেন বেশি। কুমিল্লার দেবিদ্বারের বাঙ্গুরা থেকে আসা দর্শনার্থী কাজী ফখরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আমার দুই ছেলের বায়না ছিলো মেলার ঘুরিয়ে দেখার। তাই এখানে ঘুরতে নিয়ে আসছি। তবে স্বাস্থ্য বিধি মানার কোনো দৃশ্য চোখে পড়েনি।
মেলায় ঘুরতে আসা অপর দর্শনার্থী কুমিল্লার হোমনার বাসিন্দা পলাশ প্রধান বলেন, ঘুরে দেখলাম, দেশীয় পণ্যের দাম হাতের নাগালে থাকলেও বিদেশি পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। তাই এবার কেনা হয়নি কিছু।
মেলায় থাকা তুর্কিস্তানের পণ্য নিয়ে বসা স্টল দ্বোভাষী মনির হোসেন জানান, মেলায় শেষ মুহূর্তে কিছুটা বিক্রি বেড়েছে। কারণ আমরা ২৫ পার্সেন্ট ছাড় ঘোষণা করেছি তাই। তবে মেলায় ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি। মেলায় একই অবস্থা দেখা গেছে পাট পণ্যের স্টলে। দেশীয় পণ্য হলেও এখানে কেনাকাটার চেয়ে ঘুরে দেখা লোকের সংখ্যাই বেশি। এদিকে যুমনা ইলেকট্রনিক পণ্যের স্টলে দেখা গেছে বাইক কিনতে আসা দর্শনার্থীদের। তারা কমদামে বিশেষ ছাড় পেয়ে মেলা থেকে কিনে নিয়েছেন তাদের পছন্দের বাইক। তবে ব্যতিক্রম খাবারের দোকানগুলো। একটু বেশি দাম নেয়ার অভিযোগ থাকলেও ভিড় দেখা গেছে ওইসব স্টলে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় এমন দর্শনার্থী বাড়ছে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
মেলার বিশেষ দায়িত্বে থাকা রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, স্থায়ী প্যাভিলিয়নের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা দেখতে এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি। সামনে ক্রেতা বাড়বে। সব কিছুই আগের চেয়ে উন্নত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন