করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে কোভিড-১৯ টিকার উভয় ডোজ নেওয়া পর্যটকরা কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে থাইল্যান্ডে ভ্রমণের অনুমতি পাবেন। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাইল্যান্ডের করোনা টাস্কফোর্স।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত একমাস আগে বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ায় পর্যটকদের ক্ষেত্রে ভিসা-ফ্রি কোয়ারেন্টাইন পলিসি তুলে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ঘোষণা করা হয়, এপ্রিলের শুরু থেকে পর্যটকদের ৯ মার্কিন ডলার প্রবেশ ফি দিলে তবেই প্রবেশ করা যাবে এই দেশে। তবে এর এক মাসের মধ্যেই ফের একটি নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাইল্যান্ডের সরকার।
থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক উন্নতির পেছনে পর্যটন শিল্প বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। করোনাভাইরাস ও ওমিক্রনের কারণে পর্যটন শিল্পে ভাটা পড়তেই ফের আশার আলো জাগাতে দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
থাইল্যান্ড সরকারের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উভয় ডোজ টিকা নিয়েছেন, এমন পর্যটকরা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টেস্ট অ্যান্ড গো স্কিমের অধীনে দেশে প্রবেশ করতে সক্ষম। তবে থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর প্রথম দিনে ও পঞ্চম দিনে কোভিড পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের মুখপাত্র তাওয়েসিন ভিসানুয়োথিন।
নতুন এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভ্রমণকারীরা কোভিড পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করার সময় একটি হোটেলে নিজেকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। এছাড়া থাইল্যান্ডে প্রবেশের পর পর্যটকরা করোনাবিধি-সহ সব নিয়ম মেনে চলছেন কি না তা নিশ্চিত করতে একটি ট্র্যাকিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এটি একটি নতুন পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহের হোটেল কোয়ারেন্টাইনের বিকল্প হিসেবে গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে টেস্ট অ্যান্ড গো স্কিম চালু করেছিল থাইল্যান্ড। গত বছর চালু হওয়া স্যান্ডবক্স প্রোগ্রাম অনুসারে, টিকার ডোজ সম্পন্ন করা পর্যটকদের থাইল্যান্ডের বাকি অংশে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার আগে ফুকেটের রিসোর্ট দ্বীপের মতো নির্দিষ্ট কিছু স্থানে সাত রাত কাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের মোট প্রায় ৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৬৬ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ করোনার উভয় ডোজ টিকা নিয়েছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন দেশটির ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন