বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপূণ এবং মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এফডিসিতে দুই প্যানেলই তাদের ক্যাম্পে ডিজিটাল স্ক্রিণ বসিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার গানের ভিডিও প্রচার করছে। মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের প্যানেলের প্রচারণার ভিডিওতে দেখানো হচ্ছে সমিতির সদস্যদের বিভিন্ন সময়ে কীভাবে তারা সহযোগিতা ও পাশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপূণের প্যানেলের ভিডিওতে এফডিসিতে তাদের প্রচারণা কার্যক্রমের ভিডিও দেখানো হচ্ছে। তবে তাদের প্যানেলের প্রচারণামূলক গানের একটি লাইন নিয়ে সিনিয়র শিল্পীরা বেশ আপত্তি জানিয়েছেন। কেউ কেউ ক্ষুদ্ধতা প্রকাশ করেছেন। গানের লাইনটি হচ্ছে, ‘নোট দিয়ে ভোট কেনার দিন শেষ’। এ নিয়ে প্রবীণ অভিনেত্রী আনোয়ারা আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, একটি প্যানেলের ‘নোট দিয়ে ভোট কেনার দিন শেষ’ গান দিয়ে জুনিয়র শিল্পীরা নাচানাচি করেছেন। বিষয়টি আমার কাছে ভালো লাগেনি। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে টাকার কথা আসবে কেন? এত বছরের অভিনয় জীবনে এসব দেখিনি। আমার কাছে মনে হয়, আমরা জোকারে পরিণত হচ্ছি। আমাদের সবার বুঝে শুনে ভোট দেয়া প্রয়োজন। তিনি বর্তমান মিশা-জায়েদ কমিটির প্রশংসা করে বলেন, মিশা-জায়েদ শিল্পীদের জন্য করোনার সময়ে যথেষ্ট কাজ করেছে। অনেক বড় বড় নায়ক আছেন, তারা কোথায়? তারা তো খোঁজ নেয়নি। শিল্পী সমিতির কমিটিতে যারা ছিলেন তারাই খোঁজ নিয়েছেন। এদিকে, এফডিসিতে আগত অনেক শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজকও মনে করছেন, ‘নোট দিয়ে ভোট কেনার দিন শেষ’ এমন গান প্রচার করা চলচ্চিত্রের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ ধরনের প্রচারণায় শুধু শিল্পীদের ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে না, চলচ্চিত্রের অন্যদেরও ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রির বাইরের লোকজন এটাই মনে করবে, এখানে টাকা দিয়ে নির্বাচন হয়। আমরা মনে করি, যারা এ ধরনের গান বাজাচ্ছেন, তাদের প্রমান করা উচিৎ নির্বাচনে কে বা কারা টাকা দিয়ে ভোট কিনে। প্রমান ছাড়া শুধু প্রচারণার কারণে ইন্ডাস্ট্রির বদনাম করা উচিৎ নয়। অনেকে প্রশ্ন তুলে বলেন, যারা এ গান বাজাচ্ছে, তারা কি ইন্ডাস্ট্রির বাইরের কেউ? তাদের ওপরও কি এ বদনাম পড়ছে না? এখন কেউ যদি পাল্টা অভিযোগ তুলে বলে, তারাও টাকা দিয়ে ভোট কিনে নির্বাচন করছে, তাহলে কি তাদের ভাল লাগবে? এগুলো তো প্রমান সাপেক্ষ ব্যাপার। কাজেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এটা শিল্পী সমিতির নির্বাচন, যাদের মনমানসিকতায় শিল্পের চর্চা থাকবে। অশৈল্পিক কোনো কিছু বলা বা করা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন