বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রমণশীল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে রোগী বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়; দেশে চলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্ত রোগী সংখ্যা, বাড়ছে শনাক্তের হারও। ওমিক্রন তাণ্ডবের মধ্যে দেশে যে হারে রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গতকালও আক্রান্ত হয়েছে ১৬০৩৩ জন। নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮ জন। প্রতিদিন দ্রুত গতিতে শনাক্তের হার বাড়ছে। এত দ্রুত শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা আগে দেখা যায়নি।
এই অবস্থায় সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে বাণিজ্যমেলা বন্ধ করার সুপারিশও করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সরকারকে এ সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন, কমিটি সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
করোনা শনাক্তের চিত্র তুলে ধরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিধি-নিষেধ কঠোর করতে সরকারকে কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশের বাস্তবায়নও জরুরি। শুধু নির্দেশনা দিলেই হবে না, বাস্তব প্রয়োগও দরকার। অর্থাৎ গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী, সবাই মাস্ক পরবে, অফিস-আদালত অর্ধেক জনবল দিয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। এগুলো ভালোভাবে হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্যমেলা চলছে, যা খোলা রাখা উচিত না। এখন এইগুলোর যদি বাস্তব প্রয়োগ না হয়, তাহলে ভালো ফলাফল আসবে না। এজন্য আমরা বলেছি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রোগী শনাক্তের ঊর্ধ্বগতিতে লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সহিদুল্লা বলেন, লকডাউন এই মুহূর্তে খুব লাভ হবে না। লকডাউন দেওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা জরুরি।
দেশে ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে। যখন দেখবো হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছি না, তখন লকডাউন দেবো। লকডাউনে কিছু সুবিধা হবে, কিন্তু জীবিকার ওপর যে প্রভাব পড়বে, তাও কম না। এই বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন