শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নিত্যপণ্যে আগ্রহী ক্রেতারা

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা চড়া মূল্যে বিদেশি পণ্যে অনীহা

মো. খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের পূর্বাচলে ২য় আসরের ১৭তম দিনে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সংখ্যা। মেলা সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্যে জানা যায়, প্রায় সব পণ্যের দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতাদের অভিযোগ। তবে দেশীয় ও নিত্য পণ্যের দিকে অফার নিতে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। বিদেশি পণ্যের অতিরিক্ত দাম হাঁকায় বিক্রি কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। অন্যদিকে মেলায় বেশি দামে পণ্য বিক্রি করায় গ্রাহকরা পাচ্ছেন না প্রতিশ্রæত সেবা।

গতকাল দুপুরে মেলায় স্টল ঘুরে দেখা যায় দেশীয় পণ্যের স্টলে ক্রেতা দর্শনার্থীদের ভিড়। বিদেশি প্যাভিলিয়নে ভিড় থাকলেও বিক্রি দেখা যায়নি খুব একটা। সাধারণ ক্রেতাদের আকর্ষণে রূপ নিয়েছে নিত্য পণ্য, শিশুদের খেলনা আর শিশুপার্ক। তবে বরাবরের মতোই অভিযোগ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করার।
মেলা ঘুরতে আসা এক গৃহীনি জানান, মেলার বেশ কিছু পণ্য দেখলাম। বাসায় কাজে লাগে এমন কিছু ক্রয় করলাম। তবে মানের আর দামের দিক থেকে প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী ক্রেতাকে দেওয়া হচ্ছে না পণ্য ও সেবা।
গতকাল মেলা প্রাঙ্গণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মনিটরিং ও সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগের যেন অন্ত নেই। এসব নানা অপরাধে বাণিজ্য মেলায় প্রতিদিন অভিযোগ প্রমাণিত হলে নানা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করছে অধিদফতর। কিন্তু নানা ফাঁকফোকরে লোকসান কাটাতে ব্যবসায়ীরা নানা কৌশলে চালাচ্ছেন অবাণিজ্যিক কর্মকাÐ।

অধিদফতরের উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানা বলেন, বাণিজ্য মেলা চলাকালে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিদিন মেলায় প্রতিষ্ঠানগুলো মনিটরিং করছি। যে কেউ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি ও প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী পণ্য-সেবা না দেওয়ার অপরাধে আজো কিছু প্রতিষ্ঠানকে ৯ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে। জনস্বার্থে এসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এদিকে মেলা শুরুর দ্বিতীয় সপ্তাহ পার হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের পদচারণায় জমে উঠছে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। বিক্রিত পণ্যের মধ্যে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য ও গৃহস্থালি পণ্যেরই চাহিদা বেশি বলে জানা গেছে।

ব্যবসায়ীদের মতে, মানুষ অর্থনৈতিক সংকট ও ব্যয় সংকোচন করতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেশি কিনছেন। বিলাসবহুল বা কম প্রয়োজনীয় পণ্য অধিকাংশই কিনছেন না। আর বিদেশি পণ্যের দাম বেশি হাঁকায় ক্রেতারা শুধু দেখছেন কিন্তু কিনছেন না।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেলা জমজমাট হয়েছে। বিক্রিও প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে মানুষ নানা কারণে হিসাব করেই কেনেন। তাই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ব্যবসায়ীরা ছাড় দেয়া শুরু করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন