টাঙ্গাইলের সখিপুরের মাদ্রসা ছাত্র মারুফ হোসেন(১৪) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে ঘাটাইল থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারী) সকালে ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের সরাবাড়ী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম সরকার।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে যানা যায়, মারুফ পার্শ্ববর্তী সখিপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের গড়বাড়ী গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। সে কালিহাতি উপজেলার রৌহা হাফিজিয়া মাদরাসায় লেখাপড়া করত এবং ৯পারা কোরআন হাফেজ।তার নানা বাড়ী ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া গ্রামে।
মাদরাসা বন্ধ থাকায় গত বৃহস্পতিবার (২৭জানুয়ারী) দুপুরে মারুফ তার বড় ভাই অটোচালক বাবর আলীর সঙ্গে অটোরিক্সাযোগে ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া গ্রামে নানার বাড়ীতে বেড়াতে যান। দেওপাড়া বাজার হতে দুই ভাই কলা কেনেন।ছোট ভাইকে অটোরিক্সায় রেখে বড় ভাই বাবর আলী কলা নানা বাড়ীতে রেখে আসতে যান। কলা রেখে বাজারে ফিরে বাবর আলী অকোরিক্সা ও তার ভাইকে দেখতে না পেয়ে বাজারেই অপেক্ষা করতে থাকেন। বাবর আলী ভাবেন, মারুফ হয়তো অটোরিক্সাটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসতে গেছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও মারুফ ফিরে না আসায় গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজা খুঁজি করেন বড় ভাই।
রসূলপুর ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান,,শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা উপজেলার সরাবাড়িতে একটি অজ্ঞাত শিশুর লাশ কলাবাগানের ভেতর গলায় চাদর পেঁচানো অবস্থায়দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে মারুফের বড় ভাই বাবার আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম সরকার জানান,এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে,অটোরিক্সা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।এ ঘটনায় মামলা দায়েদের প্রস্ততি চলছে। রহস্য উদঘাটনেরও চেষ্টা চলমান রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন