শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি ও জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক

প্যানেলগতভাবে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল বিজয়ী

ডিলান হাসান: | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণাকালেই এমন একটি ধারণা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল যে, দুই প্যানেলের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি এবং জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারেন। বাস্তবে হয়েছেও তাই। ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপূণ প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, আর মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান। এ নিয়ে জায়েদ খান পরপর তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন এবং ইলিয়াস কাঞ্চন প্রথমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ৩৩ বছর আগে ১৯৮৯ সালে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। ৩৩ বছর পর নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন তিনি। গত শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টা থেকে এফডিসিতে শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ নির্বাচন হয়। সাংবাদিক ও ভোটার ছাড়া বাইরের লোকজনকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এমনকি পরিচালক ও প্রযোজকদেরও ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ফলে অনুমোদনহীন ইউটিউবার ও আইপি টেলিভিশনে কর্মরতরা ঢুকতে পারেনি। এফডিসির ভেতরের পরিবেশ ছিল অত্যন্ত শান্ত। গেইটের বাইরে ছিল শত শত মানুষের ভিড়। ভিড় সামলাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশ তৎপর দেখা যায়। এবারের হাইভোল্টেজ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এফডিসি বেশ জমজমাট হয়ে উঠে। সকলের দৃষ্টি ছিল এফডিসির দিকে। বিশেষ করে ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় চলচ্চিত্রে এর গুরুত্ব বেড়ে যায়। সকাল থেকেই শিল্পী ও কলাকুশলীরা গেটে পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দিতে এফডিসিতে আসেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারকাদের মধ্যে দেখাশোনা ও কথাবার্তা হয়। কুশলাদি বিনিময় হয়। নির্বাচনে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। সমিতির ৪২৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ৩৬৫ জন। সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন ১৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পান ১৪৮ ভোট। ৪৩ ভোটের ব্যবধানে ইলিয়াস কাঞ্চন জয় লাভ করেন। অন্যদিকে জায়েদ খান ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপূণ পান ১৬৩ ভোট। জায়েদ খান ১৩ ভোটের ব্যবধানে নিপূণকে পরাজিত করেন। সম্পাদকীয় ১০টি পদের মধ্যে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপূণ প্যানেলে ৬টি পদে বিজয়ী হয়। এর মধ্যে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক (২১২ ভোট), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শাহনূর (১৮৪ ভোট), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে আরমান (২৩২ ভোট), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মামনুন ইমন (২০৩ ভোট), কোষাধ্যক্ষ পদে আজাদ খান (১৯৩ ভোট) রয়েছেন। অন্যদিকে, মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল থেকে ৪টি সম্পাদকীয় পদে বিজয় লাভ করেন সহ-সভাপতি পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২১২ ভোট), মাসুম পারভেজ রুবেল (১৯১ ভোট), আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী (২০৫ ভোট)। তবে কার্যকরী পরিষদ সদস্যর ১১টির মধ্যে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেলের ৭ জন নির্বাচিত হন। তারা হচ্ছেন, অঞ্জনা সুলতানা (২২৫ ভোট), অরুণা বিশ্বাস (১৯২ ভোট), আলীরাজ (২০৩ ভোট), ভাতিজা চুন্নু (২২০ ভোট), মৌসুমী (২২৫ ভোট), রোজিনা (১৮৫ ভোট) এবং সুচরিতা (২০১ ভোট)। ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপূণ প্যানেল থেকে নির্বাচিত ৪ সদস্য হচ্ছেন, অমিত হাসান (২২৭ ভোট), কেয়া (২১২ ভোট), জেসমিন (২০৮ ভোট) এবং ফেরদৌস (২৪০ ভোট)। ভোটের ফলাফলের দিক থেকে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল ১১টি পদে এবং ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপূণ প্যানেল ১০টি পদে বিজয়ী হয়েছে। এ হিসেবে, মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন