সদ্য অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপূণ সাধারণ স¤পাদক পদে পুনরায় নির্বাচনের দাবী করেছেন। নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে তিনি এ দাবী করেছেন। গত রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী করেন। অথচ আগের দিন তিনি ভোট পুনঃগণনার আবেদন করে ফলাফল একই পান এবং নির্বাচন কমিশনের প্রদেয় ফলাফল শিটে স্বাক্ষর করেন। পরদিন সেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ স¤পাদক পদে পুনঃনির্বাচন দাবী করেছেন। তিনি এ নিয়ে আদালতেও যাবেন বলে জানান। এ নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গণে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র শিল্পী বলছেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নিপূণের এ ধরনের অভিযোগ করা উচিৎ হয়নি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি যেসব কথা বলেছেন, তাতে শিল্পীদের মধ্যকার রেষারেষির বিষয়টি পুরো জাতির সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে শিল্পীদেরই সম্মানহানি হয়েছে। নির্বাচনে হার-জিৎ থাকবেই। এখানে আমরা সিনিয়র শিল্পীসহ অন্য সবাই নিজেদের স্বাধীন ইচ্ছা এবং পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছি। নিপূণকেও ভোট দিয়েছি। এখন যারা যে প্রার্থীকে যোগ্য মনে করেছেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এ ফলাফল মেনে নিয়ে সকলেরই এক পরিবার হয়ে শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করা উচিৎ। নিজেদের মধ্যকার রেষারেষি প্রকাশ্যে আনা উচিৎ নয়। আরেক সিনিয়র পরিচালক বলেন, নির্বাচনে কেউ হারবে, কেউ জিতবে। তবে একে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক এবং কোন্দল কোনোভাবেই প্রকাশ্যে আনা উচিৎ নয়। এই নির্বাচনই তো শেষ নয়। যারা হেরেছেন, তাদের উচিৎ হারার কারণ এবং নিজেদের দুর্বলতা কোথায় ছিল তা অনুসন্ধান করে শুধরে নিয়ে পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া। নির্বাচনে হেরে গেলে অভিযোগ থাকতে পারে, তবে তা সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে আনা উচিৎ নয়। উল্লেখ্য গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাধারণ স¤পাদক পদে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন জায়েদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপূণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন