মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, রায় নিয়ে আমাদের প্রত্যাশার শুরু থেকে বলেছি-মামলার প্রধান দুই আসামি প্রদীপ এবং লিয়াকতের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা কিন্তু হয়েছে। রায়েও আমরা সেটা দেখেছি। এই দিক থেকে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এজন্য বিজ্ঞ আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। আদালত চুলচেরা বিশ্লেষণ করে রায় দিয়েছেন।
সাতজনের বেকসুর খালাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাতজন যে একদম বেকসুর খালাস পেয়েছেন সেখানে আমার মনে হয়েছে, তাদের যে একদমই সংশ্লিষ্টতা নেই এমনটি কিন্তু না। এটা সম্ভবও না। কোনো না কোনোভাবে তো তাদের সংশ্লিষ্ট ছিলই। দায়বদ্ধতা তো কেউ এড়াতে পারে না। সেক্ষেত্রে তাদের কিছু সাজা হতে পারত। তাহলে প্রত্যাশা আরও বেশি পূরণ হয়েছে বলা যেত। আর সন্তুষ্টির ব্যাপার যদি বলেন, সন্তষ্ট তো সেই দিনই হবো যেদিন রায় কার্যকর হবে।
সাতজনের বেকসুর খালাস পাওয়ার কারণে কী উচ্চ আদালতে যাবেন জানতে চাইলে শারমিন বলেন, এবিষয়ে আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। তবে আমি কিন্তু সন্তুষ্টি ও প্রত্যাশা দুটি আলাদা করে রেখেছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মামলার পেছনে যারা তদন্ত করেছেন, বিজ্ঞ আইনজীবী যারা সময় দিয়েছেন, তাদেরকে শুধু ধন্যবাদ দিলে ছোট করা হবে। এটা কম ওয়ার্ড। এই রায়টি হওয়ার জন্য যারা প্রথম দিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কাজ করেছেন তাদেরকে অন্তরের অন্তরস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। সবাই যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন, দেশে যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হতে পারে, মানুষ কিন্তু আশাবাদী হবে। আলোচিত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় রায় এসেছে দেড় বছর পর। দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করা ওই হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ এসেছে বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ ও পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত ও পুলিশের তিন সোর্সসহ ছয়জনের। রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আটজনের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও করা হয়। এছাড়া অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস দেয়া হয়েছে এপিবিএনের তিন সদস্যসহ সাতজনকে। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সোমবার বেলা সোয়া চারটার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন