আকাশ নিবির : ঢাকার চলচ্চিত্রে মেধাবী নির্মাতা হিসেবে পরিচিত জাকির হোসেন রাজু প্রথম পরিচালনা করেন সালমান শাহ-শাবনূর জুটি নিয়ে জীবন সংসার সিনেমাটি। এরপর ১৯৯৭ সালে পরিচালনা করেন এ জীবন তোমার আমার। ২০০১ সালে তার নিজের লেখা গল্প নিয়ে নির্মাণ করেন মিলন হবে কত দিনে ও নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি। ২০০৭ সালে পরিচালনা করেন মা আমার স্বর্গ। ২০০৯ সালে আমার প্রাণের প্রিয়া। ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ও শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ইতোমধ্যেও শেষ করেছেন আরেফিন শুভ ও নুসরাত ফারিহাকে নিয়ে প্রেমিও প্রেমি এবং বর্তমানে নির্মাণ করছেন ভালো থেকো নামে একটি সিনেমা। শুটিংয়ের ফাঁকে কথা হয় তার সাথে।
এতো আয়োজনে কিসের শুটিং করছেন?
নতুন চলচ্চিত্র ভালো থেকো’র। আমার নিজের গল্প। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
প্রেমিও প্রেমিতে জাকির হোসেন রাজুর কাছে কি ধরনের গল্প আশা করতে পারি?
আসলে গল্পটা একটি সম্পূর্ণ প্রেমের গল্প। জাকির হোসেন রাজু নিজের মত কাজ করে। কাউকে ফলো করে না।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র খুব খারাপ একটা সময় পার করছে, আপনার অভিমত কি?
দেখেন! চলচ্চিত্রের এমন দিন আসতো না, যদি সবাই আগে থেকে একটিভ থাকতো। যে যার মত করে কাজ করে যাচ্ছে। কোনো সমন্বয় নেই। আমরা সবাই যদি আবার একযোগে কাজ করি, আশা করি, ভালো অবস্থানে যেতে পারবো।
আপনার বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে আরেফিন শুভ রয়েছে, ওর সম্ভাবনা কতটুকু?
আসলে আরেফিন শুভ খুব ক্ষুধার্ত! সে খেতে চায়। আমার মতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে এ রকম ক্ষুধার্ত ছেলেই দরকার। তাকে খাবার দিলে আমার কাছে মনে হয়, সে অনেক ভালো করতে পারবে। কাজের প্রতি খুব একটিভ একটি ছেলে। তবে ওর মধ্যে ছেলে মানুষী ভাবটা একটু বেশি। বুঝে শুনে কোন কথা বলে না। কার সামনে কোন কথাটা বলা প্রয়োজন সেটা বুঝে না। এটা তার ঠিক করা খুবই দরকার।
আর্ট ফিল্ম নিয়ে আপনার অভিমত কি?
আর্ট ফিল্ম আর কর্মাশিয়াল ফিল্ম তো অবশ্যই আলাদা। কিন্তু বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে কর্মাশিয়ালটা বেশি হয়ে থাকে। কর্মাশিয়াল সিনেমার প্রতিটি শট, ফ্রেমিং তো আর আর্ট ফিল্মের মত হবে না। আর্ট ফিল্মে প্রতিটি গল্প মানুষকে ধরে ধরে বুঝানো হয়। আর কমার্শিয়াল ফিল্ম দেখে সবাই সহজে বুজতে পারে। আমাকে তো সবাই কর্মাশিয়াল ফিল্মের মানুষ হিসেবেই চিনে।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন করছেন?
হ্যাঁ। আমি পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করব। আমার কাছে মনে হয়েছে, এ নির্বাচনে আমার থাকা উচিৎ। আমাদের প্যানেলে সভাপতি হিসেবে আমজাদ হোসেন ভাইও নির্বাচনের সম্মতি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন