চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের শুরুতে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে জানা গেছে, নতুন অর্থবছরে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে এরই মধ্যে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এমপিওভুক্তির জন্য প্রায় ৬ হাজার আবেদন জমা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এবং ডিগ্রি স্তরের ৩ হাজার। বাকি ৩ হাজার কারিগরি, ভোকেশনাল ও মাদরাসা স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবেদন।
বর্তমানে আবেদনগুলোর শেষ পর্যায়ের যাচাই-বাছাই এবং জেলা পর্যায় থেকে আবেদন করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর রিপোর্ট সংগ্রহের কাজ চলছে। নতুন শিক্ষাসচিব যোগদান করায় কিছুটা বিলম্ব হলেও এখন জোরেশোরে চলছে এমপিওভুক্তির কাজ।
এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন এমপিওভুক্তির কাজের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কাজ এখন শেষ দিকে। আমরা যে তথ্যগুলো চেয়েছি, সেগুলো পেলে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে এর মধ্যে রিপোর্টগুলো না পেলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে হয়ে যাবে।
যাচাই-বছাই কমিটির আরেক সদস্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির বলেন, আবেদন শেষ হওয়ার পর এ পর্যন্ত কমিটির দুটি সভা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যে তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে তা বর্তমানে যাচাই করা হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হতে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্ত করতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ৭ নভেম্বর এমপিওভুক্তির আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে এই কমিটিকে সহায়তা করতে আরও চার সদস্যের একটি উপ-কমিটিও গঠন করা হয়।
দেশে এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়েছে এমন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। এমপিওভুক্ত হয়নি এমন প্রায় ৭ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সবশেষ ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন