যোগ্যতা থাকলেও এমপিওভুক্তি হয়নি ইন্দুরকানীর বিজিএস মহিলা দাখিল মাদরাসা। আশ্বাসে কেটে গেল ১৮ বছর। শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে মাদরাসায় পাঠদান বন্ধের আলোচনা হয়েছে। এত বছরে ও এমপিওভুক্ত না হওয়াকে দুঃখজনক বলছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এড. এম মতিউর রহমান। ১৯৮০ সালে বিজিএস মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ২০০২ সালে পে-অফ ঘোষণা করে। শিক্ষকরা নিজেদের সেচ্ছাশ্রমে ও অর্থায়নে মাদরাসা পরিচালনা করতে থাকেন। এমপিওভুক্তির আশায় এতদিন নানা চেষ্টা তদবির ও করে আসছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু প্রকাশিত সর্বশেষ এমপিও তালিকায় মাদরাসাটিকে যুক্ত করা হয়নি। এই প্রতিষ্ঠানে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। মাদরাসায় পাঠদান বন্ধের কথা শুনে অভিভাবকরা পড়েছেন দূরচিন্তায়।
বিজিএস মহিলা মাদরাসার সুপার এইচ এম শাহ-আলম বলেন, ২০০২ সালে পে-অফ ঘোষনার পর থেকে শিক্ষকরা বিনা বেতনে পাঠদান চালিয়ে আসছেন।আমার মাদরাসা ফলাফলে উপজেলা পর্যায় শির্ষে স্থান লাভ করলেও। মন্ত্রনালয়ের সব শর্ত পূরন করা হয়েছে। তবুও এমপিওভুক্ত হয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
উপজেলা চেয়ারম্যান এড. এম মতিউর রহমান বলেন, এত বছরেও এমপিওভুক্তি না হওয়া দুঃখজনক। শিক্ষক ও শিক্ষাথীদের কথা চিন্তা করে এমপিওভুক্তি প্রয়োজন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মীর একে এম আবুল খয়ের বলেন, প্রতিষ্ঠানে ভিত্তিক তথ্য চেয়েছে।সেই অনুসারে এমপিওভুক্তি হয়েছে। তবে বিজিএস মাদরাসাটি এমপিওভুক্তি হলে ভালো হতো। আমাদের উপজেলায় ৫টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন