চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ বিষয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের পক্ষে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। একইসঙ্গে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। অর্থাৎ এ সময়ে সাধারণ সম্পাদক পদে কেউই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। ওইদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। নিপুণের আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ গতকাল নায়িকা নিপুণের আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়াদুল হসান সেটি শুনানির জন্য বুধবার দিন ঠিক করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালত গতকাল এ আদেশ দেন। এর আগে, হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন (সিএমপি ১১০/২০২২) করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। গত সোমবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে নির্বাচনি আপিল বোর্ড। আপিল বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আহসানুল করীম ও আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মজিবুল হক ভূঁইয়া। নিপুণের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ। এর আগে গত সোমবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা বাতিল করে দেওয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট রিট দায়ের করেন জায়েদ খান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছিলেন জায়েদ খান। গত ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের আপিল বোর্ড নিপুণের অভিযোগ আমলে নিয়ে জায়েদের প্রার্থীতা বাতিল ও নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন