মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জলবায়ু পরিবর্তন: শহর রক্ষায় বার্লিন, ব্যাংককের কৌশল

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:০৯ পিএম

থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, জার্মানির বার্লিনের মতো শহরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে৷ সমুদ্রসীমা থেকে ব্যাংকক মাত্র এক মিটার উঁচুতে অবস্থিত৷ প্রতিবছর সাগরের পানির উচ্চতা পাঁচ মিলিমিটার করে বাড়ছে৷

বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ২০৫০ সাল নাগাদ ব্যাংকক তলিয়ে যেতে পারে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে শহর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করছে৷ ব্যাংককের কিছু অংশ ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে৷ যেমন ২০ কিলোমিটার দক্ষিণের সামুত চিন মন্দির এলাকা৷

অ্যালেক্স ফেস ব্যাংককের একজন গ্রাফিতি আর্টিস্ট ও এক সন্তানের বাবা৷ তিনি তার বাড়ির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি এখন বাড়ি বানাচ্ছি৷ অনেক টাকা খরচ হচ্ছে৷ আমি প্রায় ভাবি, একদিনতো সবকিছু পানিতে তলিয়ে যাবে৷ অনেকে বলছেন, এটা নাকি শিগগিরই হবে৷ আগামী ১০ বছরের মধ্যে৷''

জার্মানিতেও সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগ হয়েছে৷ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছে, যেমন বার্লিনে৷ তাই ভারী বৃষ্টিপাত হলে পানি ধরে রাখা অনেক সময় সম্ভব হয় না৷ তখন নীচু এলাকায় অবস্থিত ঘরবাড়ির প্রবেশপথ, সাবওয়ে টানেলে পানি ঢুকে যায়৷

বার্লিনের পানি ব্যবস্থাপনা অফিসের প্রকৌশলী কারিন জিকার বৃষ্টির পানি ব্যবস্থার নতুন কৌশল নিয়ে কাজ করছেন৷ বার্লিনের নর্দমা ব্যবস্থা অনেকসময় কুলিয়ে উঠতে পারে না৷ তিনি বলেন, ‘‘ভারী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় পানি ব্যবস্থাপনার সিস্টেমগুলো অনেক সময় পানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না৷ তখন পানি উপচিয়ে নীচু এলাকা তলিয়ে যায়৷’’

পরিস্থিতি সামাল দিতে বার্লিন ‘স্পঞ্জ সিটি’ হয়ে উঠতে চায়৷ বৃষ্টির পানি স্পঞ্জের মতো শুষে নিতে চায়৷ ২০১৭ সাল থেকে বার্লিনের প্রতিটি নতুন ভবন স্পঞ্জ সিটির ধারণা মেনে তৈরি হচ্ছে৷ দক্ষিণপূর্ব বার্লিনের এই আবাসিক এলাকা তেমনই এক উদাহরণ৷ নতুন নির্মাণ কৌশল ও বৃষ্টির পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পারদর্শী একটি সংস্থা ২০১৮ সাল থেকে বার্লিনকে নানা পরামর্শ দিয়ে আসছে৷ এই ব্যবস্থায় বৃষ্টির এক ফোঁটা পানিও নর্দমা ব্যবস্থা পর্যন্ত পৌছায় না বলে জানালেন হানা ক্র্যুগার৷ প্রায় ৯০ শতাংশ বৃষ্টির পানি এভাবে ধরা যায়৷ এই পানি পাইপের মাধ্যমে বিশেষ নর্দমা ব্যবস্থায় চলে যায়৷

বন্যা সামাল দিতে ব্যাংককও সবুজ ছাদ গড়ে তুলতে চায়৷ বার্লিনের মতো তারাও বৃষ্টির পানি অস্থায়ীভাবে ধরে রাখতে চায় এবং পরে সেটা ভালো কোনো কাজে লাগাতে চায়৷ প্রকৃতিকে কংক্রিটের জঙ্গলে একটা সুযোগ দেয়ার অনেকগুলো উপায়ের মধ্যে এটি একটি মাত্র৷ তবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ভবিষ্যতে বন্যা প্রতিরোধের এটি একটি চেষ্টা৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন